করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য তৈরী হচ্ছে ২ হাজার শয্যার ‘সেফ হোম’

বৈঠক থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, রাজ্যে আরও বেশ কিছু ‘কোয়ারেন্টিন সেন্টার’ ও ‘সেফ হোম’ তৈরি করা হবে। যে ভবনে বৈঠক, সেই উত্তীর্ণতেও ৫০০ শয্যার ‘সেফ হোম’ তৈরি করার ভাবনা চিন্তা করছে প্রশাসন।

April 19, 2021 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

করোনা (COVID 19) পরিস্থিতি মোকাবিলার নকশা তৈরি করতে আলিপুরের উত্তীর্ণ ভবনে বৈঠক করলেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দফতরের শীর্ষ আধিকারিকরা, ছিলেন উপদেষ্টা চিকিৎসক তথা রাজ্য সভার সাংসদ শান্তনু সেন, ও চিকিৎসক অভিজিৎ চৌধুরী। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ রাজ্যে আছড়ে পড়ার পর, তার মোকাবিলায় কী কী পদক্ষেপ করা যায়, তা নিয়ে এই সভায় আলোচনা হয়েছে এই বৈঠকে।

বৈঠক থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, রাজ্যে আরও বেশ কিছু ‘কোয়ারেন্টিন সেন্টার’ ও ‘সেফ হোম’ তৈরি করা হবে। যে ভবনে বৈঠক, সেই উত্তীর্ণতেও ৫০০ শয্যার ‘সেফ হোম’ তৈরি করার ভাবনা চিন্তা করছে প্রশাসন। পাশাপাশি, আনন্দপুরে ৭০০ ও গীতাঞ্জলি স্টেডিয়ামে ২০০ শয্যার ‘সেফ হোম’ তৈরির কথা ভাবছে রাজ্য সরকার, একই পরিকাঠামো রাজারহাটেও তৈরি করা হতে পারে। এই হিসাবে ২০০০ শয্যা আয়োজন করতে চাইছে রাজ্য সরকার। মঙ্গলবার থেকেই এই সব ব্যবস্থা শুরু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, ‘‘আমরা করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেমে পড়লাম। এখন প্রশাসনের একটাই নীতি, মানুষকে বাঁচাও, মানুষের জন্য রাজনীতি। করোনা (Coronavirus) প্রতিরোধ করাই এখন আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। কিশোরভারতী স্টেডিয়ামে ৫০০, উত্তীর্ণতে ৫০০, গীতাঞ্জলিতে ২০০, আনন্দপুরে ৭০০ বেড নিয়ে ‘সেফ হোম’ তৈরি হবে। ১০ টি অ্যাম্বুল্যান্স দাঁড়িয়ে থাকবে ‘সেফ হোম’-এর বাইরে। এখানে একটি নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে কাজ করা হবে। প্রথমে আক্রান্তকে ‘সেফ হোম’-এ আনা হবে। সেখানে পরিস্থিতি খারাপ হলে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে। সুস্থ হলে আবার ‘সেফ হোম’-এ আনা হবে, নজরদারি রাখার জন্য। যুদ্ধকালীন তৎপরতা স্যানিটাইজ করা হবে। মাস্ক থেকে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা, সব নিয়ে প্রচারে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছি আধিকারিকদের।’’

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen