রেমাল ঘূর্ণিঝড় ও ভারী বৃষ্টির জোড়া ধাক্কা সামলে দিয়েছে সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকার নদীবাঁধ

নোনা জলে ভেসে যায় ঘরবাড়ি, চাষের জমি, মিষ্টি জলের পুকুর। বাঁধ শক্তিশালী হলে, কোথাও ফাটল বা ধস না হলে রক্ষা পায় সেসব।

May 28, 2024 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi
রেমাল ঘূর্ণিঝড় ও ভারী বৃষ্টির জোড়া ধাক্কা সামলে দিয়েছে সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকার নদীবাঁধ

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: বারবার প্রকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতবিক্ষত হয়েছে সুন্দরবন এলাকা। আর সুন্দরবন এলাকার ক্ষতবিক্ষত হওয়ার পিছনে প্রধান কারণ দুর্বল নদীবাঁধ। কোনও সামুদ্রিক ঝড় এলেই সুন্দরবন এলাকার বাসিন্দারা সবচেয়ে বেশি উদ্বেগে থাকেন নদীবাঁধ নিয়ে। বাঁধ দুর্বল হলে শিয়রে বিপদ এসে উপস্থিত হয়। নোনা জলে ভেসে যায় ঘরবাড়ি, চাষের জমি, মিষ্টি জলের পুকুর। বাঁধ শক্তিশালী হলে, কোথাও ফাটল বা ধস না হলে রক্ষা পায় সেসব। কিন্তু এবার রেমালের তাণ্ডব ঠেকিয়ে ‘হিরো’ সেই নদীবাঁধই!

এবার দেখা গেল, রেমাল ঘূর্ণিঝড় ও ভারী বৃষ্টির জোড়া ধাক্কা সামলে দিয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকার নদীবাঁধ। সাগর থেকে গোসাবা, এক বাক্যে মানছে শক্তিশালী নদীবাঁধের এই কেরামতির কথা। দুর্যোগের আভাস স্পষ্ট হতেই এবার প্রশাসন তৎপর হয়েছিল। দুর্বল নদীবাঁধগুলি আগাম চিহ্নিত করে মেরামতি করে ফেলে সেচদপ্তর। শুধু তাই নয়, বৃষ্টি শুরু হওয়ার পর যেখানে যেখানে ফাটল বা সমস্যা দেখা দিয়েছে, যুদ্ধকালীন তৎপরতায় সেগুলি সারাই করা হয়েছে। সেই কারণেই বেশিরভাগ জায়গায় বাঁধ রক্ষা করা গিয়েছে বলে মনে করছেন সাধারণ মানুষ।

সোমবার দুপুরে ফ্রেজারগঞ্জে অমরাবতী গ্রামের বাসিন্দারা নদীবাঁধের সামনে দাঁড়িয়ে জটলা করছিলেন। সেখানে বিশ্বেশ্বর জানা নামে এক প্রৌঢ় বলেন, ‘গত কয়েক বছর ঝড়ে গ্রামের পর গ্রাম ডুবে গিয়েছিল। এবার সেরকম পরিস্থিতি তৈরি হয়নি এখনও। সরকার যেভাবে এবার বাঁধ নির্মাণ করেছে, তা এই ধাক্কা সামলানোর উপযুক্ত।’ একই দাবি করেছেন কাকদ্বীপের সীমাবাঁধ এলাকার বাসিন্দা সৌমেন তরফদার ও ইব্রাহিম মোল্লা। তাঁরা বলেন, ‘যশ ঘূর্ণিঝড়ের সময় নদীর জল ঢুকে গোটা গ্রাম প্লাবিত হয়েছিল। এবার নদীবাঁধ অনেকটাই পোক্ত হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে বাঁধের উচ্চতাও। ঝড়ের গতি এবং ভরা কোটালের জোড়া বিপদ থাকলেও বাঁধই এবার আমাদের বাঁচিয়ে দিল।’

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen