বর্ষায় বিদায়লগ্নে ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’-এর ভ্রুকুটি, মাটি হবে আলোর উৎসব?

আবহাওয়াবিদরা বলছেন, এখনই ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথ নির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব নয়।

October 11, 2022 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

উমা চলে গিয়েছেন, এবার আরেক মা দেবী কালীর আগমণের পালা। কিন্তু আলোর উৎসব দীপাবলি মাটি করতে পারে ঘূর্ণিঝড়। তেমনই বলছে আবহাওয়ার পূর্বাভাস। ইতিমধ্যেই বর্ষার বিদায় প্রক্রিয়া আরম্ভ হয়ে গিয়েছে, এর বর্ষা বিদায়ের মধ্যেই বঙ্গোপসাগরে সুপার সাইক্লোন তৈরির সম্ভাবনা দেখাচ্ছে। কালীপুজোর সময় বঙ্গোপসাগরে সুপার সাইক্লোন তৈরি হতে পারে। সাইক্লোনটির নাম হবে ‘সিত্রাং’। আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১৫০ থেকে ২০০ কিলোমিটার।

হাওয়া অফিসের অনুমান, বর্ষা বিদায়ের পর বঙ্গোপসাগরে ২টি নিম্নচাপ তৈরির সম্ভাবনা থাকছে। যার একটির সুপার সাইক্লোনে পরিণত হাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে, ১৭-১৮ অক্টোবর নাগাদ আন্দামান সাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে। পরবর্তী দুতিন দিনের মধ্যেই তা ঘূর্ণিঝড়ের আকার ধারণ করতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। ক্রমশ শক্তি সঞ্চয় করে সেটি উপকূলের দিকে এগোতে থাকবে বলেও জানানো হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্রে ঘণ্টায় ১৫০-২০০ কিলোমিটার বেগে হাওয়া বইতে পারে। আশঙ্কা করা হচ্ছে সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ২৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত পৌঁছতে যেতে পারে। ফলে এটি সুপার সাইক্লোনের আকার ধারণ করবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং ২৪ বা ২৫ অক্টোবর নাগাদ স্থলভাগে প্রবেশ করতে পারে বলে অনুমান। অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে বাংলাদেশের মধ্যে পূর্ব উপকূল বরাবর যেকোনও জায়গায় ঘূর্ণিঝড়টি আঘাত আনতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে উপকূল ও লাগোয়া বিস্তীর্ণ এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা থাকছে। ঘূর্ণিঝড়ের জেরে সমুদ্র উত্তাল হয়ে উপকূল এলাকায় ১৫-২০ ফুট জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা রয়েছে।

আবহাওয়াবিদরা বলছেন, এখনই ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথ নির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব নয়। ঘূর্ণিঝড়টির শক্তি কেমন হবে তাও নির্দিষ্ট করে এতো আগে আগাম বলা সম্ভব নয়। ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হওয়ার পরেই নির্দিষ্ট পূর্বাভাস দেবেন বলেই জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen