দেশে কোভিড টিকার ঘাটতি নেই? তথ্য অন্য কথা বলছে

একাধিক রাজ্য টিকা ঘাটতির দাবি তুলেছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডক্টর হর্ষ বর্ধন বলেছেন, কেন্দ্রের কাছে পর্যাপ্ত টিকা রয়েছে। যদিও কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য বলছে অন্য কথা।

April 14, 2021 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

ভারতে দিন দিন বাড়ছে করোনা (COVID 19) আক্রান্তের সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় সব রেকর্ড ভেঙে আক্রান্তের সংখ্যা ১ লক্ষ ৮৪ হাজারের বেশি। এই অবস্থায় দেশে টিকাকরণের সংখ্যাও বেড়েছে। কিন্তু বর্তমানে কেন্দ্রের কাছে যে পরিমাণ টিকা রয়েছে তাতে কি নির্দিষ্ট সময়ে দেশের মানুষকে টিকা দেওয়া সম্ভব হবে? একাধিক রাজ্য টিকা ঘাটতির দাবি তুলেছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডক্টর হর্ষ বর্ধন বলেছেন, কেন্দ্রের কাছে পর্যাপ্ত টিকা রয়েছে। যদিও কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য বলছে অন্য কথা।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে খবর, ভারতে বর্তমানে টিকাকরণের দৈনিক গড় সংখ্যা ৩৫ লক্ষ ৮০ হাজার। ভারতের ৫০ শতাংশ জনসংখ্যা অর্থাৎ ৬৫ কোটি মানুষকে টিকা দেওয়ার জন্য ১৩০ কোটি ডোজ প্রয়োজন। এই পরিমাণ ডোজ দেওয়ার জন্য ৩৩৮ দিন বা ১২ মাস সময় লাগবে। অর্থাৎ ২০২২ সালের এপ্রিল মাসে এই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হতে পারে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) জানিয়েছে, সংক্রমণ কমানোর জন্য দরকার হার্ড ইমিউনিটি। অর্থাৎ প্রতি ৫ জনের মধ্যে ৩ জনকে টিকা দিতে হবে। সে ক্ষেত্রে দেশের ৭৮ কোটি নাগরিকের জন্য ১৫৬ কোটি ডোজ প্রয়োজন। তার জন্য এখনও ৪০৬ দিন বা ১৩ মাস সময় লাগবে বলেই জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। অর্থাৎ ২০২২ সালের মে মাসে এই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হতে পারে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) জানিয়েছে, সংক্রমণ কমানোর জন্য দরকার হার্ড ইমিউনিটি। অর্থাৎ প্রতি ৫ জনের মধ্যে ৩ জনকে টিকা দিতে হবে। সে ক্ষেত্রে দেশের ৭৮ কোটি নাগরিকের জন্য ১৫৬ কোটি ডোজ প্রয়োজন। তার জন্য এখনও ৪০৬ দিন বা ১৩ মাস সময় লাগবে বলেই জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। অর্থাৎ ২০২২ সালের মে মাসে এই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হতে পারে।

অর্থাৎ এই গতিতে ভারতের ১০০ শতাংশ অর্থাৎ ১৩০ কোটি মানুষকে টিকা (Vaccine) দেওয়ার জন্য ৬৭৭ দিন বা ২৩ মাস সময় লাগবে। অর্থাৎ ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি বা মার্চ মাসে এই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হতে পারে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen