দিল্লিতে দূষণের ছোবলে মৃত্যু ১৭ হাজারের বেশি, GBD রিপোর্টে উদ্বেগ

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ২০:০৬: দূষণের আঁতুড় ঘর হয়ে উঠেছে দিল্লি। বছরের পর বছর ধরে বিষাক্ত বাতাসে জর্জরিত এই শহর এবার আরও ভয়াবহ পরিসংখ্যানের মুখোমুখি। গ্লোবাল বার্ডেন অফ ডিজিজ (GBD)-এর সাম্প্রতিক রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২৩ সালে দিল্লিতে হওয়া মোট মৃত্যুর ১৫ শতাংশের কারণ দূষণ। অর্থাৎ প্রতি সাতজন মৃতের মধ্যে একজনের মৃত্যু (Death) হয়েছে দূষণের (Pollution) ছোবলে।
এই মাসের শুরুতে ইনস্টিটিউট ফর হেলথ মেট্রিক্স অ্যান্ড ইভালুয়েশন (IHME) প্রকাশ করে দিল্লির স্বাস্থ্য সংক্রান্ত একটি বিশ্লেষণ। সেই তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে ১৭,১৮৮ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে দীর্ঘ সময় দূষিত বাতাসে থাকার ফলে। এই তথ্য সামনে আসতেই দিল্লিবাসীর মধ্যে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ে।
দীপাবলির পর থেকেই দিল্লির বাতাস আরও বিষাক্ত হয়ে উঠেছে। দূষণ নিয়ন্ত্রণে ‘ক্লাউড সিডিং’-এর উদ্যোগ নেয় দিল্লি সরকার, যার ট্রায়াল হয় মঙ্গলবার। কিন্তু বৃষ্টির কোনও কার্যকর ফল না আসায় তিনটি ব্যর্থ ট্রায়ালে খরচ হয় প্রায় ১.০৭ কোটি টাকা, অথচ দূষণ কমার বদলে আরও বেড়েছে।
সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) দীপাবলিতে ‘সবুজ বাজি’ ব্যবহারের সময়সীমা নির্ধারণ করলেও বাস্তবে তা কার্যকর হয়নি। রাতভর আতশবাজির দৌরাত্ম্যে দিল্লির বাতাসের গুণগত মান (AQI) পৌঁছায় ৪৫১-তে, যা ‘ভীষণ খারাপ’ পর্যায়ে পড়ে। কয়েকদিন কেটে গেলেও শহরের ‘দমবন্ধ’ পরিস্থিতি কাটেনি।
কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড (CPCB)-এর মতে, দিনে সাতটি সিগারেট খেলে ফুসফুসে যে ক্ষতি হয়, বর্তমানে দিল্লির বাতাসে শ্বাস নিলেও সেই পরিমাণ ক্ষতি হতে পারে। সুপ্রিম কোর্টে দূষণ সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে উঠে আসে আরও উদ্বেগজনক তথ্য- দীপাবলির সময় দিল্লির দূষণ সংক্রান্ত সঠিক তথ্যই প্রশাসনের কাছে নেই।