ই-কমার্সের চাহিদায় বাড়ছে গুদামঘরের চাহিদা

চলতি অর্থ বছরে এই দুই ক্ষেত্র থেকেই ওয়্যারহাউজিংয়ের চাহিদা বিপুল বাড়বে বলে মনে করছে উপদেষ্টা সংস্থাটি

July 7, 2020 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

ই-কমার্স ও ভোগ্যপণ্য সংস্থাগুলির চাহিদাই চলতি অর্থ বছরে কলকাতায় ওয়্যারহাউজিংয়ের চাহিদা বাড়াবে বলে এক রিপোর্টে জানিয়েছে সম্পত্তি উপদেষ্টা সংস্থা নাইট ফ্রাঙ্ক ইন্ডিয়া। গত অর্থ বছরে কলকাতা ও তার সন্নিহিত এলাকায় ওয়্যারহাউজিং ক্ষেত্রে মোট লেনদেনের ২৭ শতাংশ হয়েছিল ই-কমার্স সংস্থাগুলির সঙ্গে এবং ৫ শতাংশের মতো নতুন ওয়্যারহাউজ বা আধুনিক গুদাম নিয়েছিল বিভিন্ন ভোগ্যপণ্য সংস্থা। চলতি অর্থ বছরে এই দুই ক্ষেত্র থেকেই ওয়্যারহাউজিংয়ের চাহিদা বিপুল বাড়বে বলে মনে করছে উপদেষ্টা সংস্থাটি। কারণ, করোনা পরিস্থিতির কারণে অনলাইনে কেনাকাটা অনেকটাই বৃদ্ধি পাওয়ায় শহরের মধ্যে ই-কমার্স সংস্থাগুলি ডিস্ট্রিবিউশন কেন্দ্র গড়ার জন্য ১০,০০০-২০,০০০ বর্গফুটের জায়গার খোঁজ শুরু করেছে।

নাইট ফ্রাঙ্ক ইন্ডিয়া-র কলকাতা শাখার ডিরেক্টর স্বপন দত্ত বলেন, ‘শিল্প ও বাণিজ্যিক ব্যবহারের জন্য বিরাট ওয়্যারহাউজের চাহিদার তুলনায় অপেক্ষাকৃত ছোট অত্যাধুনিক পরিকাঠামো ও সুযোগ-সুবিধাসহ ওয়্যারহাউজের চাহিদা বিরাট পরিমাণে বাড়বে বলে আমাদের অনুমান। ই-কমার্স সংস্থাগুলি ছাড়াও বিভিন্ন ভোগ্যপণ্য সংস্থা ক্রেতার কাছে দ্রুত পণ্য পরিষেবা পৌঁছে দিতে শহরের মধ্যে জনবহুল এলাকায় এ ধরনের ওয়্যারহাউজ আরও বেশি করে ভাড়ায় নেবে। শহরের মধ্যে এ ধরনের ছোট ওয়্যারহাউজ বা ডিস্ট্রিবিউশন কেন্দ্রের ভাড়া মাসিক বর্গফুট পিছু ৩০-৩৫ টাকা মতো হবে।’

এর ফলে কলকাতা লাগোয়া এলাকগুলিতে যে সমস্ত ওয়্যারহাউজ ক্লাস্টার রয়েছে, সেগুলির লিজ ভাড়া নিকট ভবিষ্যতে কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন। প্রসঙ্গত, গত অর্থ বছরে যে সমস্ত ওয়্যারহাউজ লিজে নিয়েছিল বিভিন্ন সংস্থা, কোভিড- ১৯-এর জন্য সেগুলির অধিকাংশতেই ভাড়া দর-কষাকষি করে নতুন করে নির্ধারিত হচ্ছে। জাতীয় সড়কের আশেপাশে আগে যেখানে ভাড়া ছিল মাসে বর্গফুট পিছু ২২-২৫ টাকা, তা করোনা পরিস্থিতিতে কমে দাঁড়িয়েছে ১৮-২২ টাকা।

নাইট ফ্রাঙ্ক ইন্ডিয়া-র ওয়্যারহাউজিং মার্কেট রিপোর্ট ২০২০ অনুযায়ী, কলকাতায় ২০১৯-২০ অর্থ বছরে মোট ৩৯ লক্ষ ৩০ হাজার বর্গফুট ওয়্যারহাউজ জায়গার লিজ হয়েছে, যা তার আগের অর্থ বছরের থেকে ১৪ শতাংশ কম। এর মধ্যে ৫২ শতাংশ লেনদেন হয়েছে দু’নম্বর জাতীয় সড়কে ডানকুনি ও তার আশেপাশের এলাকায়। বাকিটা হয়েছে জাতীয় সড়ক- ১৬-কে ঘিরে। গত তিনটি অর্থ বছর অর্থাৎ, ২০১৭-২০২০ পর্যন্ত কলকাতায় ওয়্যারহাউজের বার্ষিক চাহিদা ৪৩ শতাংশ হারে বেড়েছে।

স্বপনের বক্তব্য, ‘কলকাতায় ওয়্যারহাউজিংয়ের ক্রমবর্ধমান চাহিদায় শুধুমাত্র ২০১৯-২০ অর্থ বছরটাই ব্যতিক্রম। তবে ডানকুনি, ধুলাগড়ের মতো এলাকায় চিরাচরিত গুদামঘরের চাহিদা চলতি অর্থ বছরে কমবে, কারণ, অত্যাধুনিক পরিকাঠামো বিশিষ্ট সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় এবং রোবট-চালিত ওয়্যারহাউজই ভবিষ্যৎ।’

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen