মুরালিধর লেনে ‘ছবি মাটিতে ফেলে লাথি’-র পর বাড়ল সুকান্ত-দিলীপ কাজিয়া?

বঙ্গবিজেপিতে ‘আদি’-দের বসিয়ে ‘নব্য’ এবং ‘দলবদলু’রাদের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেবার যে অভিযোগ গত কয়েক বছর ধরে মাথাচাড়া দিয়েছে

October 14, 2023 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: বঙ্গবিজেপিতে ‘আদি’-দের বসিয়ে ‘নব্য’ এবং ‘দলবদলু’রাদের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেবার যে অভিযোগ গত কয়েক বছর ধরে মাথাচাড়া দিয়েছে। কদিন ধরেই এই সংক্রান্ত নানা বিষয়ে বাংলার জেলায় জেলায় বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের ক্ষোভ যেন বেড়েই চলেছে। গত বৃহস্পতিবার এর আঁচ এসে পড়ে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ের মুরালিধর লেনের দলীয় কার্যালয়ে।

বৃহস্পতিবার বঙ্গবিজেপির বর্তমান রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তী সহ রাজ্য নেতৃত্বের অপসারণ চেয়ে তীব্র ক্ষোভ আছড়ে পড়েছিল দলীয় কার্যালয়ে। সেখানে বিক্ষুব্ধদের সুকান্ত মজুমদারের ছবি মাটিতে ফেলে লাথি মারতেও দেখা যায়। তবে রাজ্য সভাপতি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যে এই কাজে জড়িত কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে চরম শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এই সূত্রেই নাকি এবার বঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন ও বর্তমান সভাপতির মতবিরোধ চূড়ান্ত আকার নিয়েছে।

সুকান্ত মজুমদারের এই বক্তব্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার হলেন দলের প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। শুক্রবার খড়্গপুরে এক চা-চক্রে যোগ দিয়ে তিনি বলেন যে, আগে কোনওদিন তাঁদের দলে এমন ঘটনা ঘটেনি। যাঁদের মধ্যে ক্ষোভ-বিক্ষোভ আছে, তাঁদের নিয়েই কথা বলা উচিত। সবাইকে সাজা দিয়ে ঠান্ডা করা যাবে না। শাস্তির ভয় দেখিয়ে সমাজ চলে না। বিক্ষুব্ধরাও তাঁদের পরিবারের সদস্য।

২০২১ সালের ২০ সেপ্টেম্বর মেয়াদ ফুরনোর অনেক আগে তৎকালীন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে সরিয়ে তাঁর জায়গায় আনা হয় বালুরঘাটের এমপি সুকান্ত মজুমদারকে। তারপরই রাজ্য ও জেলাস্তরে বিভিন্ন কমিটি থেকে দিলীপ-ঘনিষ্ঠদের ছাঁটাই শুরু হয়। অভিযোগ ওঠে, ‘আদি’-দের বসিয়ে ‘নব্য’ এবং ‘দলবদলু’রাই এখন নিয়ন্ত্রক হয়ে উঠেছেন। সেই ধারাই এখনও বহমান বঙ্গ বিজেপিতে।

এই ইস্যুতে রাজ্যের দুই শীর্ষনেতা যেভাবে দ্বন্দ্বে জড়িয়েছেন, তাতে বিজেপির চলতি অন্তর্কলহ বাড়তি মাত্রা পাবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen