আগুন থেকে বাঁচতে ঘরোয়া কিছু টিপস

বাড়িতে হঠাৎ বিপদের মুখে পড়লে কি করতে পারেন, রইল তার টিপস।

July 21, 2020 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

আমরা সকলেই জানি বিপদ কখনো একা আসে না আর বিপদ কখনো বলে আসে না। ধরুন হঠাৎ বাড়িতে আগুন লাগলো। সেক্ষেত্রে অনেকের মাথা কাজ করে না সময় মত। তাই, বাড়িতে হঠাৎ বিপদের মুখে পড়লে কি করতে পারেন, রইল তার টিপস।  

ছ্যাঁকা লেগে ফোস্কা পড়লে

রান্না করার সময় সাধারণত গরম তেল ছিটকে বা অসাবধানতা বশত গরম বাসনে ছ্যাঁকা লেগে ফোস্কা পড়ে যায়। এমন ঘটনায় উদ্বিগ্ন হওয়ার দরকার নেই। অযথা ঘাবড়ে না গিয়ে, ছ্যাঁকা লাগার জায়গাটি কিছুক্ষণ ঠান্ডা জলে ডুবিয়ে রাখুন। এরপর ক্ষতিগ্রস্ত অংশে কয়েকদিন নিয়মিত নিওমাইসিন সালফেট, অ্যামিনোগ্লাইকোসাইড বা পোভিডন আয়োডিন গ্রুপের মলম লাগালে ধীরে ধীরে ক্ষত ঠিক হয়ে যাবে। 

তবে বয়স খুব বেশি হলে এবং সঙ্গে অন্যান্য শারীরিক সমস্যা থাকলে অনেক সময় অ্যান্টিবায়োটিক খেতে হতে পারেন। মনে রাখবেন, বাড়ির বাচ্চাটির সঙ্গে এইরকম দুর্ঘটনা ঘটলে কোনওরকম ঝুঁকি নেবেন না। চটজলদি অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

ত্বকের অনেকটা অংশে পুড়ে গেলে

দুর্ঘটনাগ্রস্তকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়াই দস্তুর। তবে উপায় থাকলে বা সম্ভব হলে, হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগে আহত ব্যক্তিকে একটি পরিষ্কার বিছানার চাদরে শুইয়ে দিন। তারপর পোড়ার ক্ষতে ধীরে ধীরে ঠান্ডা জল ঢালুন। সব শেষে পোড়ার ক্ষতের জায়গায় পরিষ্কার কাপড় ঢাকা দিয়ে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব হাসপাতালে নিয়ে যান।

কখন হাসপাতালে যেতে হবে?

সাধারণত প্রাপ্তবয়স্কের ক্ষেত্রে (কোনও অসুস্থতা না থাকলে) পুড়ে যাওয়ার হার ১৫ শতাংশ পর্যন্ত হলে বাড়িতে রেখে চিকিৎসা করা যায়। তবে বয়স্কদের কোনও শারীরিক সমস্যা থাকলে এবং বাচ্চার ক্ষেত্রে ক্ষতির পরিমাণ ১০ শতাংশ হলেই কোনও ঝুঁকি না নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা দরকার। কারণ, পোড়ার ক্ষতে জীবাণু সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে প্রবল।

বাড়িতে রেখে চিকিৎসা সম্ভব?

পুড়ে যাওয়ার সমস্যায় ক্ষেত্রবিশেষে বাড়িতে রেখেও চিকিৎসা করা যায়। তবে যে অভিজ্ঞ চিকিৎসক চিকিৎসা করবেন, তিনিই এ ব্যাপারে সঠিক সিদ্ধান্ত নেবেন। সেই সঙ্গে একজন অভিজ্ঞ ড্রেসার দিয়ে নিয়মিত ক্ষতের ড্রেসিংও করাতে হবে। রোগীকে পুষ্টিকর খাবার দিতে হবে। তাঁকে আলাদা ঘরে রাখতে হবে। ঘর যেন পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকে। এমনকী, বাড়ির সবাইকেও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হয়েই তারপর রোগীর কাছে আসতে হবে।

কোন ক্ষেত্রে ঝুঁকি নেওয়া যাবে না?

কোনও ব্যক্তির হাত, পেট, মুখ আগুনে পুড়ে গেলে, কোনও রাসায়নিক পদার্থের সংস্পর্শে এসে সেখান থেকে পোড়ার ক্ষত তৈরী হলে, কেউ গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করলে, হাই ভোল্টেজ বিদ্যুতের শক পেয়ে কোনও ব্যক্তির দেহে পোড়ার ক্ষত তৈরী হলে তাঁকে আগে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।

ছোটখাটো সমস্যায় বাড়িতে কি কি রাখবেন?

নিওমাইসিন সালফেট, অ্যামিনোগ্লাইকোসাইড বা পোভিডন আয়োডিন গ্রুপের মলম বাড়িতে রাখা যেতে পারে। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা মেনে এগুলি কিছুদিন নিয়মিত পোড়ার ক্ষতে ব্যবহার করলে সাধারণত ক্ষত সেরে যায়।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen