বাংলার দুগ্গা পুজো: শিবালয়ের এই পুজো ঘিরে রয়েছে বহু কিংবদন্তি

ভাগীরথী হয়ে সুতি নদী ধরে এসে দত্তপুকুরে নোঙর করেন। সেই রাতে নামে প্রবল বৃষ্টি। তারপর রাজার স্বপ্নে আসেন দুর্গা।

October 16, 2023 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: দত্তপুকুরের রায় বাড়ির ৩৫৩ বছরের এই প্রাচীন পুজোকে ঘিরে রয়েছে অসংখ্য কিংবদন্তী। ১৬৬৯ সালে সপারিষদ নৌকা করে ভ্রমণে বেরিয়েছিলেন রাজা শিবচন্দ্র। ভাগীরথী হয়ে সুতি নদী ধরে এসে দত্তপুকুরে নোঙর করেন। সেই রাতে নামে প্রবল বৃষ্টি। তারপর রাজার স্বপ্নে আসেন দুর্গা। তালপাতার ঘর বানিয়ে পুজো করার স্বপ্নাদেশ দেন। দুর্যোগ থামলে তালপাতার কুঁড়ে বানান তিনি।

কৃষ্ণপক্ষের শুরুতেই দুর্গার বোধন করেন । পুজোকে কেন্দ্র করে বহু লোকের সমাগম হয়। তারপর থেকে দত্তপুকুরে বাস করতে থাকেন রাজা। পরে রাজা শিবচন্দ্রের নামেই দত্তপুকুরের এই অঞ্চলের নাম হয় শিবালয়।

শিবচন্দ্রের স্বপ্নে দেবী এসেছিলেন নৃসিংহ রূপে। তাই রায় বাড়িতে দুর্গার ১০ হাত হলেও ২টি হাত দেখতে পাওয়া যায়। বাকি ৮টি থাকে কেশগুচ্ছের মধ্যে। শিবালয়ের এই পুজো বুড়িমার পুজো বলে খ্যাত। এখানে অষ্টমীতে দণ্ডী কাটেন ভক্তরা। যে মহিলারা সন্তানের জন্ম দিতে অক্ষম তাঁরা নবমীতে হোমের কলা খান। তাদের বিশ্বাস এই উপাচার করে ফল পায় বহু মহিলা।

শোনা যায়, শিবালয়ের বাসিন্দা রহমত আলির স্বপ্নেও এসেছিলেন দুর্গা। তাই এখনও বিসর্জনের আগে রহমতের বাড়ির সামনে দেবীমূর্তিকে একবার নামানো হয়। তিনবার রহমতের বাড়ির চারধারে ঘোরানো হয় দেবীকে। তারপর সুতি নদীতে বিসর্জন দেওয়া হয়।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen