লোকালয়ে হাতির হানা! সতর্ক করতে বিশেষ যন্ত্র বসানোর উদ্যোগ রাজ্যের

রাজ্যের মধ্যে প্রথম গরুমারা ও বৈকুন্ঠপুরের জঙ্গল লাগোয়া বনবস্তিতে বিশেষ ধরনের যন্ত্র বসানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে

August 21, 2021 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi
ছবি সংগৃহীত

হাতি আর মানুষের সংঘাত এ যেন লেগেই আছে উত্তরের বনাঞ্চল ও লাগোয়া এলাকায়। জমির ফসল, বাড়িতে মজুত শস্য় খেতে লোকালয়ে হানা দেয় হাতির দল। ঘর ভেঙে, জমির ফসল নষ্ট করে কার্যত এলাকায় তাণ্ডব চালায় গজরাজ। আর তাদের তাড়াতে গিয়ে বেকায়দায় পড়তে হয় বনদফতরকে। এদিকে হুলাপার্টি দিয়ে হাতি তাড়ানোর ক্ষেত্রেও আদালতের কিছু বিধি নিষেধ রয়েছে। অন্যদিকে রাত বিরেতে কখন হাতি গ্রামে ঢুকছে এনিয়ে বনদফতরের কাছে অনেক সময় খবরও এসে পৌঁছায় না। সেকারণে বাসিন্দাদের ক্ষোভ গিয়ে আছড়ে পড়ে রেঞ্জার অফিসে, বিট অফিসে। এবার সবদিক মাথায় রেখে বিকল্প পদ্ধতি প্রয়োগ করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে উত্তরের একাধিক বনবস্তিতে । রাজ্যের মধ্যে প্রথম গরুমারা ও বৈকুন্ঠপুরের জঙ্গল লাগোয়া বনবস্তিতে বিশেষ ধরনের যন্ত্র বসানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। বনদফতর ও একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার যৌথ উদ্যোগে এই ধরনের যন্ত্র বসানোর কাজ শুরু হয়েছে। ঠিক কীভাবে কাজ করবে এই অভিনব ডিভাইস?

সূত্রের খবর, এটি আসলে একটি Early Alarming System। হাতি আসার ১০০ থেকে ১২০ মিটার দূর থেকে এই যন্ত্রটি জানান দেব। লোকালয়ে হাতি এলেই হুটার বাজতে শুরু করবে। এতে বাসিন্দারা সতর্ক হওয়ার সুযোগ পাবেন। অন্য়দিকে সেলুলার টেকনোলজির মাধ্যমে এই যন্ত্রের সঙ্গে আগে থেকে সেট করে রাখা বনদফতরের আধিকারিকদের মোবাইল নম্বরে ফোনও যাবে। এতেই বনদফতরের কর্মী আধিকারিকরা জানতে পারবেন গ্রামে হাতি ঢুকেছে। প্রয়োজনে টংঘর বা টাওয়ারের উপরেও এই ধরনের যন্ত্র বসানো যেতে পারে। বনদফতর সূত্রে জানা গিয়েছে এই পদ্ধতি পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হচ্ছে।

 

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen