Derby: গোলশূন্য ড্র-তেই সেমিফাইনালে ইস্টবেঙ্গল, বিপাকে মোলিনার মোহনবাগান

October 31, 2025 | 2 min read
Published by: Raj

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ২১.৩৫: গোয়ার সবুজ মাঠে শুক্রবারের ডার্বিতে দাপট ছিল ইস্টবেঙ্গলেরই। সুপার কাপের সেমিফাইনালে জায়গা করে নিতে তাদের দরকার ছিল শুধুমাত্র এক পয়েন্টের। অন্যদিকে জেতা ছাড়া কোনও রাস্তা খোলা ছিল না মোহনবাগানের সামনে। কিন্তু ৯০ মিনিটের লড়াই শেষে ফলাফল—গোলশূন্য ড্র। তাতে হাসি লাল-হলুদ শিবিরে, আর হতাশা সবুজ-মেরুন শিবিরে।

ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে খেলতে নামে ইস্টবেঙ্গল। প্রথমার্ধ জুড়ে মাঝমাঠ নিয়ন্ত্রণে রাখে রশিদ ও মিগুয়েল ফিগুয়েরা। বিশেষ করে মিগুয়েলের নিখুঁত পাসিং ও ক্রস মোহনবাগানের রক্ষণে বারবার চাপ সৃষ্টি করছিল। ২৪ মিনিটে তাঁর ক্রসে বিপিন সিংহের হেড বারে লেগে ফিরে আসে—সেই মুহূর্তে ভাগ্যই ইস্টবেঙ্গলের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়।

অন্যদিকে মোহনবাগানের আক্রমণ যেন মাঠে নামেইনি। জেমি ম্যাকলারেন একাই সামনে ছিলেন, কিন্তু তাঁকে নিখুঁতভাবে আটকে রাখে লাল-হলুদ রক্ষণভাগ। কোচ হোসে মোলিনা শুরু থেকে কেবল এক স্ট্রাইকারে দল নামিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছেন। পেত্রাতোস, কামিংস বা রবসনদের মতো বিদেশি তারকাদের প্রথম থেকেই মাঠে না নামানোর সিদ্ধান্ত অবাক করেছে সকলকে।

দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য ছন্দ ফেরানোর চেষ্টা করেন মোলিনা। একে একে মাঠে নামেন কামিংস, পেত্রাতোস ও রবসন। তবুও গোলের মুখ খুলতে পারেননি তাঁরা। সবচেয়ে বড় সুযোগটি আসে কামিংসের পায়ে, কিন্তু তাঁর শট ব্লক হয়ে যায়, ফিরতি বলে রবসনের শটও বারের ওপর দিয়ে চলে যায়। সেই মুহূর্তেই বোঝা যায়, ভাগ্য আজ সবুজ-মেরুনদের পাশে নেই।

অন্যদিকে ইস্টবেঙ্গলের কোচ অস্কার ব্রুজো পরিস্থিতি বুঝে কৌশল বদলান। শেষ দশ মিনিটে দলকে আরও রক্ষণাত্মক করে দেন তিনি, কারণ ড্র হলেই নকআউটে জায়গা নিশ্চিত। তাঁর সেই পরিকল্পনাই শেষ পর্যন্ত সফল হয়। প্রভসুখন গিলের নিরাপদ হাত ও জমাট রক্ষণে গোল পায়নি বাগান।

শেষ বাঁশি বাজতেই লাল-হলুদ শিবিরে উল্লাস। গোল না পেলেও তারা নিজেদের কাজটা করে ফেলেছে। অন্যদিকে মোলিনার কাঁধে চাপ আরও বেড়েছে। এই ব্যর্থতায় কোচিং কৌশল ও দল নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠছে প্রবলভাবে। যে ম্যাচে জেতা বাধ্যতামূলক ছিল, সেই ম্যাচে গোলশূন্য ড্র—মোহনবাগানের কাছে এই ফলাফল একপ্রকার পরাজয়েরই সমান।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen