প্লাস্টিকের চায়ের কাপে চুমুক দিলে শেষ হতে পারে পুরুষত্ব! বলছে গবেষণা

প্লাস্টিকের উপরের অংশ গলতে থাকে। উপরের এই অংশকে বলা হয় ‘প্লাস্টিক সাইজার’।

April 7, 2025 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের গবেষণায় ভয়ঙ্কর তথ্য উঠে এসেছে। গবেষণায় দেখা যাচ্ছে প্লাস্টিকের চায়ের কাপে চুমুক দিলে শেষ হতে পারে পুরুষত্ব! বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক নবকুমার মণ্ডল বলেন, প্লাস্টিক মানব শরীরে কী ধরনের ক্ষতি করতে পারে, তা নিয়ে গবেষণা করা হয়। এখন বহু দোকানেই মাটির ভাঁড়ের পরিবর্তে ‘পেপার কাপ’ ব্যবহার করা হয়। নাম পেপার কাপ হলেও তা প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি। বাইরের দিকে কাগজ থাকে। ভিতরে প্লাস্টিক থাকে। কাপে ৮৫-৯০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রা থাকে। তাতে প্লাস্টিকের উপরের অংশ গলতে থাকে। উপরের এই অংশকে বলা হয় ‘প্লাস্টিক সাইজার’। তিনি বলেন, মাইক্রোপ্লাস্টিক মানব শরীরে প্রবেশ করলে ‘হরমোনাল ডিস্টার্ব’ শুরু হয়। এর ফলে পুরষত্বও নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এছাড়া প্রেসার বেড়ে যাওয়া সহ বিভিন্ন ধরনের সমস্যা তৈরি হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্লাস্টিকেব ক্ষতিকর দিক তুলে ধরতে লাগাতার সেমিনার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পড়ুয়াদের সচেতন করাই মূল লক্ষ্য। তাঁরা বিষয়টি নিয়ে সমাজের বিভিন্ন স্তরে আলোচনা করবেন। অধ্যাপকদের দাবি, মাইক্রোপ্লাস্টিক চোখে দেখা যায় না। কিন্তু শরীরে প্রবেশ করার পর প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। মাটির ভাঁড় ব্যবহার করলে সেই সমস্যা তৈরি হয় না।

বর্ধমান শহরের উল্লাস মোড়ের এক চা বিক্রেতা বলেন, মাটির ভাঁড়ের দাম অনেক বেশি। প্লাস্টিক কাপ তার চেয়ে অনেক কম দামে পাওয়া যায়। সেই কারণে অনেকেই এই কাপ ব্যবহার করছেন। যদিও ক্রেতাদের অনেকেই সচেতন। তাঁরা মাটির ভাঁড়ে চা খেতেই বেশি পছন্দ করেন। তাতে অতিরিক্ত টাকা খরচ করতেও তাঁরা রাজি থাকেন। প্লাস্টিকের কাপে চায়ের দাম কিছুটা কম।

চায়ের দোকানের নিয়মিত ক্রেতা শ্যাম দাস বলেন, ক্ষতিকারক সবকিছু নিষিদ্ধ করা উচিত। প্লাস্টিক কাপ তৈরির কারখানাগুলি বন্ধ করলে এই সমস্যা তৈরি হয় না। মাঝেমধ্যে দেখা যায়, প্রশাসন প্লাস্টিকের বিরুদ্ধে দোকানগুলিতে অভিযান চালায়। তাতে কয়েক দিন এই সমস্ত দূষণ সৃষ্টিকারী উপকরণের ব্যবহার বন্ধও থাকে। কিন্তু, আবার সেসবের ব্যবহার শুরু হয়ে যায়। প্রশাসন জানিয়েছে, প্লাস্টিকের দূষণ সম্পর্কে আমজনতাকে সচেতন করতে লাগাতার প্রচার করা হয়। তারপরও মানুষ এসব ব্য‌বহার করে। জনগণ সচেতন না হলে দূষণ বন্ধ করা সম্ভব নয়।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen