আর্থিক সমীক্ষা ‘২৩: বেকারত্ব, সাক্ষরতা, শিশু মৃত্যুর হারে ডবল ইঞ্জিনদের টেক্কা বাংলার
বেকারত্ব, সাক্ষরতা, সদ্যোজাত শিশু মৃত্যুর হার; সবেতেই পিছিয়ে পড়েছে ডবল ইঞ্জিন রাজ্যগুলো। আর্থিক সমীক্ষার পরিসংখ্যান বলছে, অধিকাংশ ডাবল ইঞ্জিন রাজ্যের পরিস্থিতি অত্যন্ত খারাপ।

মোদী আমলে দেশের বেকারত্ব বেড়েই চলেছে, ইতিমধ্যেই সর্বকালীন নজর ছুঁয়ে এসেছে বেকারত্বের হার। সেখানেই ব্যতিক্রম বাংলা। দেশের তুলনায় বাংলার অবস্থিতি অত্যন্ত ভাল। ‘ডাবল ইঞ্জিন’ রাজ্যগুলির বেকারত্বের হার জাতীয় গড়কেও ছাপিয়ে গিয়েছে। কেন্দ্রীয় বাজেটের প্রাককালে আর্থিক সমীক্ষায় একথা কার্যত স্বীকার করে নিয়েছে মোদী সরকার। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের অর্থনৈতিক সমীক্ষা গতকাল প্রকাশিত হয়েছে। খোদ বিজেপি সরকারের রিপোর্টেই বিজেপি শাসিত ডবল ইঞ্জিন রাজ্যগুলির কঙ্কালসার অবস্থা প্রকাশ্যে এসেছে। বেকারত্ব, সাক্ষরতা, সদ্যোজাত শিশু মৃত্যুর হার; সবেতেই পিছিয়ে পড়েছে ডবল ইঞ্জিন রাজ্যগুলো। আর্থিক সমীক্ষার পরিসংখ্যান বলছে, অধিকাংশ ডাবল ইঞ্জিন রাজ্যের পরিস্থিতি অত্যন্ত খারাপ।
আর্থিক সমীক্ষা অনুযায়ী, ২০২২-এর জানুয়ারি-মার্চের হিসেবে গোটা দেশে বেকারত্বের জাতীয় গড় ৮.২ শতাংশ। ডবল ইঞ্জিন উত্তরপ্রদেশে সেই হার প্রায় ৮.৯ শতাংশ। উত্তরাখণ্ডে ১১.৯ শতাংশ, বিজেপি শাসিত রাজ্য হরিয়ানায় বেকারত্বের হার ১৩.৫ শতাংশ, ডাবল ইঞ্জিন অসমে ৯.৯ শতাংশে। বাংলায় বেকারত্বের হার ৬ শতাংশ। যা জাতীয় গড়ের তুলনায় কম। বিশেষজ্ঞ মহল বলছে, এই পরিসংখ্যান খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। আর্থিক সমীক্ষায় জানানো হয়েছে, পরিসংখ্যানে সব বয়সিদেরই অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।পরিসংখ্যানমন্ত্রকের বিভিন্ন কোয়ার্টার্লি পিরিয়ডিক লেবার ফোর্স সার্ভের উপর ভিত্তি করেই সংশ্লিষ্ট রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
আর্থিক সমীক্ষা বলছে, সাক্ষরতার হারেও পিছিয়ে অনেক বিজেপি শাসিত রাজ্য। অধিকাংশ ডাবল ইঞ্জিন রাজ্যগুলির সাক্ষরতার হার জাতীয় গড়ের তুলনায় কম। সেখানেও বাংলার হার জাতীয় গড়ের চেয়ে বেশি। সাক্ষরতার জাতীয় গড় ৭৩ শতাংশ। বাংলায় এই হার ৭৬.৩ শতাংশ। অন্যদিকে, উত্তরপ্রদেশে তা ৬৭.৭ শতাংশ, বিজেপি শাসিত মধ্যপ্রদেশ ও অসমে যথাক্রমে, ৬৯.৩ শতাংশ ও ৭২.২ শতাংশ। সদ্যোজাত শিশুর মৃত্যু হারও কমিয়ে এনেছে বাংলা। ২০২০ সালে সদ্যজাতর মৃত্যু হারের জাতীয় গড় ২৮ শতাংশ। বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশ এবং অসমে এই হার যথাক্রমে ৩৮ এবং ৩৬ শতাংশ। বাংলা হার ১৯ শতাংশ।