প্রয়াত নন্দীগ্রাম গণহত্যার সময়কার প্রাক্তন বাম বিধায়ক

স্ত্রী, দুই ছেলে এবং তিন মেয়েকে নিয়েই সংসার নন্দীগ্রামের প্রাক্তন বিধায়কের।

April 5, 2022 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

জীবনযুদ্ধে হার। প্রয়াত নন্দীগ্রামের প্রাক্তন বিধায়ক শেখ ইলিয়াস। ৬৪ বছর বয়সে চিরঘুমের দেশে পাড়ি দিলেন তিনি। সোমবার সকালে নন্দীগ্রাম সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত‍্যাগ করেন সিপিআই নেতা।

স্ত্রী, দুই ছেলে এবং তিন মেয়েকে নিয়েই সংসার নন্দীগ্রামের প্রাক্তন বিধায়কের। ২০১০ সাল থেকে চারবার হৃদরোগে আক্রান্ত হন তিনি। চিকিৎসকদের পরামর্শ মতোই চলাফেরা করতেন। বছরখানেক কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন। চিকিৎসা চলছিল। তবে ১০ দিন আগে তাঁর শারীরিক সমস্যা আরও গুরুতর আকার নিতে থাকে। তাঁকে নন্দীগ্রাম সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে ভরতি করা হয়। তাঁর বুকের সমস্যা ধরা পড়ে। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। সোমবার সকাল ৭টা ১০মিনিটে শেখ ইলিয়াস শেষ নিশ্বাস ত‍্যাগ করেন। প্রাক্তন বিধায়কের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের লোকজন শেষ শ্রদ্ধা জানাতে তাঁর বাড়িতে ভিড় জমান।

নন্দীগ্রামের গোপীমোহনপুর গ্রামের বাসিন্দা শেখ ইলিয়াস। বরাবর মেধাবি ছাত্র ছিলেন তিনি। বিজ্ঞান বিভাগের গণিতে অনার্স নিয়ে স্নাতক পাশ করেন। সমাজসেবার নেশায় রাজনীতিতে পা দেন। ১৯৭৮ সালে হাত মেলান নন্দীগ্রাম এলাকায় তৎকালীন সিপিআই নেতা ভূপাল পাণ্ডা এবং শক্তি বল-সহ অন‍্যান‍্য বাম নেতার সঙ্গে। স্থানীয় কেন্দ‍্যামারি গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৮৩ সালে নন্দীগ্রাম ১ ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন। বাম জমানায় ২০০১ সালে এবং ২০০৬ সালে নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্র থেকে সিপিআই বিধায়ক হিসাবে প্রতিনিধিত্ব করেন।

তবে একটি বেসরকারি সংবাদমাধ্যমের স্টিং অপারেশনে তাঁকে ঘুষ নিতে দেখা যায়। তৎকালীন তৃণমূল বিধায়ক সৌগত রায় অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তৎকালীন স্পিকার তাঁকে বিধানসভা থেকে বরখাস্ত করে। এরপর আর রাজনীতির ময়দানে দেখা যায়নি তাঁকে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen