বঙ্গ বিজেপির মুখ মিশনের মহারাজ? জল্পনায় জল ঢালল মঠ
হিন্দুত্ববাদী দলগুলি ইতিমধ্যেই তাঁকে ভবিষ্যতের মুখ্যমন্ত্রী বলে প্রচার শুরু করেছে। ২০২১ সালের আগে এই প্রচার যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।

বেশ কিছুদিন ধরে একটি গুজব ছড়াতে শুরু করেছে। ফেসবুক হোক বা নিউজ রুম, কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে একটি খবর। বাংলার রাজনীতিতে প্রবেশ করতে চলেছেন রামকৃষ্ণ মিশনের এক মহারাজ। ‘কৃপাকরানন্দ মহারাজ’ গেরুয়া শিবিরে নাম লেখাতে চলেছেন – এমনটাই রটেছে। হিন্দুত্ববাদী দলগুলি ইতিমধ্যেই তাঁকে ভবিষ্যতের মুখ্যমন্ত্রী বলে প্রচার শুরু করেছে। ২০২১ সালের আগে এই প্রচার যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।
কে এই কৃপাকরানন্দ মহারাজ?
নাম দেবতোশ চক্রবর্তী। কারা যেন রটিয়েছে মাধ্যমিকে পঞ্চম, উচ্চমাধ্যমিকে সপ্তম হন তিনি। মেডিক্যাল জয়েন্টে রাঙ্ক ১৭। এনআরএসে ভর্তি হন। দিল্লীর এইমস থেকে এমডি করেন, আমেরিকা যান হৃদয় নিয়ে গবেষণা করতে। গবেষণা চলাকালীন তিনি একদিন উধাও হয়ে যান। কয়েক বছর পর বেলুড় মঠে এক তরুণ সাধুর আবির্ভাব হয় এবং তিনি স্বাস্থ্য বিভাগের দায়িত্ব নেন। ইনিই সেই উধাও হওয়া ডাক্তার। যদিও, শাস্ত্রীয় সঙ্গীতেও পারদর্শী ‘কৃপাকরানন্দ মহারাজ’ উড়িয়ে দিয়েছেন এই গুজব। দাবি করেছেন, এই সব তথ্যই ভুয়ো।
বিজেপির সুবিধা
বিধানসভা নির্বাচনের আর বেশী সময় বাকি নেই। এখনও বঙ্গ বিজেপির কাছে কোনও মুখ্যমন্ত্রীর মুখ নেই। সৌরভ গাঙ্গুলীর নাম প্রচার হলেও তিনি এই উত্তাল পরিবেশে রাজনীতিতে আসবেন বলে মনে হয় না। দিলীপ ঘোষ সাংগঠনিক মানুষ, পথে নেমে লড়ার মানুষ। কিন্তু, কোনও শিক্ষিত বাঙালী তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী পদে চান না। মুকুল রায়ের অনেক অভিজ্ঞতা থাকলেও দুর্নীতির অভিযোগ আছে। তাছাড়া, হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি তাঁকে পছন্দ করে না। এই পরিস্থিতে মহারাজেকে যদি বিজেপি রাজী করাতে পারে তাদের পথ প্রশস্ত হবে। ভদ্রলোক মুখ্যমন্ত্রীদের যে প্রথা এরাজ্যে আছে, তাতে কৃপাকরানন্দ মহারাজ বেস্ট ফিট।
তিনি কি রাজি হবেন?
রামকৃষ্ণ মিশন চিরকাল রাজনীতি থেকে দূরে থেকেছে। তাই এই খবরে সরগরম সব মহল। রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের সাধারন সম্পাদক স্পষ্ট করে দেন, এটি একটি গুজব। স্বামী বিবেকানন্দের নির্দেশ অনুসারে রামকৃষ্ণ মিশনের কোনও সন্যাসী রাজনীতিতে অংশ নিতে পারে না। কিছুদিন আগে এক সাক্ষাৎকারে মহারাজ নিজে জানিয়েছেন রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার কোনও পরিকল্পনা নেই তাঁর।