গরুকে আমেরিকান সুইট কর্ন খাওয়াচ্ছেন চাষিরা
অনেক আশা করে মাসদুয়েক আগে আমেরিকান সুইট কর্ন চাষ করেছিলেন। দীপেন, মহম্মদ সফিকুলরা ভেবেছিলেন, প্রতিবছরের মতো এবারেও এই ভুট্টা চাষ করে সংসার চালানোর পাশাপাশি পরবর্তী মরশুমি চাষের জন্য অর্থসংগ্রহ করবেন। তবে লকডাউনের জেরে হোটেল, রেস্তোরাঁ থেকে শুরু করে অনুষ্ঠানবাড়ি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ফাঁপরে পড়েছেন এই সমস্ত চাষি।
অনেক আশা করে মাসদুয়েক আগে আমেরিকান সুইট কর্ন চাষ করেছিলেন। দীপেন, মহম্মদ সফিকুলরা ভেবেছিলেন, প্রতিবছরের মতো এবারেও এই ভুট্টা চাষ করে সংসার চালানোর পাশাপাশি পরবর্তী মরশুমি চাষের জন্য অর্থসংগ্রহ করবেন। তবে লকডাউনের জেরে হোটেল, রেস্তোরাঁ থেকে শুরু করে অনুষ্ঠানবাড়ি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ফাঁপরে পড়েছেন এই সমস্ত চাষি।
পরিণত হলেও ক্রেতা না মেলায় চাষের জমিতেই পচছে ফসল। কীভাবে সংসার চলবে, বুঝে উঠতে পারছেন না এই চাষিরা। এমনকি পর্যটকদের সামনে এই বিশেষ প্রজাতির ভুট্টার প্রদর্শনীর জন্য পানিঘাটা, রোহিণীর রাস্তার ধারেও বীজ বপন করা হয়েছিল। এই ক্ষেত্রেও ধাক্কা খাওয়ার আফসোস করছেন উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে সেন্টার অফ ফ্লোরিকালচার অ্যান্ড অ্যাগ্রি বিজনেস ম্যানেজমেন্ট (কোফাম)-এর টেকনিকাল অফিসার অমরেন্দ্র পান্ডে।

আমেরিকান সুইট কর্ন মানেই সুইট কর্ন চাট, সুইট কর্ন সুপ-এর মতো সুস্বাদু খাবার। কোফাম সূত্রে খবর, এই বিশেষ প্রজাতির ভুট্টার চাষ গত দুবছর চম্পাসারি সহ পার্শ্ববর্তী ফাঁসিদেওয়া থেকে শুরু করে রোহিণী এলাকায় শুরু হয়েছে। যুক্ত রয়েছে প্রায় দেড়শোরও বেশি পরিবার। জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসে এই ভুট্টার বীজ বপন হয়। মার্চের মাঝামাঝি সময় থেকে ফসল পরিণত হতে শুরু করে। চাষিদের মধ্যে আবার কেউ সুইট কর্ন চাট-এর দোকান খুলে বসেন।
তবে এবারে ছবিটা পলাটে গিয়েছে। ফাঁসিদেওয়া ব্লকের কৃষক মহম্মদ সফিকুল বলেন, বীজ বপন করার সময়ে ভাবিনি, যখন ফসল পরিণত হবে তখন পরিস্থিতি এরকম থাকবে। ফসল পরিণত হওয়ার দুই-তিনদিনের মধ্যেই ক্রেতাদের হাতে ফসল তুলে দিতে হয়। কিন্তু এবারে ফসল পরিণত হয়ে জমিতেই নষ্ট হচ্ছে। গোরুকে তা খাওয়াতে বাধ্য হচ্ছি।