রাষ্ট্রপতির ভাষণ বয়কট মায়াবতীর দলেরও
গুলাম নবি আজাদ বলেন যে ঠিক করে সংসদে কৃষি বিলগুলি নিয়ে আলোচনা করার সুযোগ দেইনি সরকার। তার আগেই জোরজবরদস্তি করে বিলগুলি পাশ করানো হয়। সেটার বিপক্ষেই তাদের এই প্রতিবাদ।

মায়াবতীর বহুজন সমাজ পার্টিও আজ সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণ বয়কট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইতিমধ্যেই ১৬টি বিরোধী দল এই ভাষণ বয়কট করছে। কৃষি আইন (Farm Laws) প্রত্যাহার করার জন্য সরকারের ওপর চাপ যাতে বজায় থাকে, তার জন্য এই পন্থা নিযেছে বিরোধীরা।
প্রসঙ্গত, বাজেট অধিবেশনের শুরুতে সংসদের যৌথ অধিবেশনে বক্তব্য রাখার কথা কোবিন্দের। কিন্তু সেখানে উপস্থিত থাকবেন না বিরোধীরা। বাজেট অধিবেশন যে শান্ত ভাবে হবে না ও কৃষি আইন নিয়ে উত্তাল হবে লোকসভা ও রাজ্যসভা, সেটারই ইঙ্গিত এটি বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
বুধবার কংগ্রেসের (Congress) পক্ষ থেকে বলা হয় যে একবছরের মধ্যে দ্বিতীয় বার দিল্লিতে আইনের শাসন ভেঙে পড়েছে। দিল্লি পুলিশ যেহেতু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের আওতায়, তাই এর দায় অমিত শাহকে নিতে হবে বলে দাবি করেছে কংগ্রেস (Congress)। এখনই মোদীর উচিত শাহকে বরখাস্ত করা বলে জানান কংগ্রেস নেতা রণদীপ সুরজেওয়ালা।
কংগ্রেসের দাবি যে কৃষকদের আন্দোলন দুর্বল করার জন্যই একশ্রেণির বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে সরকার। তার জেরেই লাল কেল্লায় (Red Fort) উড়েছে ধর্মীয় পতাকা। গুলাম নবি আজাদ বলেন যে ঠিক করে সংসদে কৃষি বিলগুলি নিয়ে আলোচনা করার সুযোগ দেইনি সরকার। তার আগেই জোরজবরদস্তি করে বিলগুলি পাশ করানো হয়। সেটার বিপক্ষেই তাদের এই প্রতিবাদ।