মহিষাদলে খাপ পঞ্চায়েতের চেষ্টা গ্রাম্য কমিটির! কড়া প্রশাসন, গ্রেপ্তার ৫

গ্রামের কোনও ছেলে না জানিয়ে বিয়ে করে বউ নিয়ে ফিরলে অথবা গ্রামের মেয়ে বাড়ি ছেড়ে চলে গেলে, গ্রাম্য কমিটির ধার্য চাঁদার নামে জরিমানা দিতে হবে।

April 5, 2022 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

মহিষাদলে ফতোয়া জারি করে গ্রেপ্তার ৫ জন। মঙ্গলবার ধৃতদের তোলা হয়েছে হলদিয়া আদালতে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এখনও রাজনৈতিক চাপানউতোর জারি পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলে।

বিষয়টি ঠিক কী? সম্প্রতি মহিষাদলের (Mahishadal) চকদ্বারিবেড়্যার গ্রাম্য কমিটি একগুচ্ছ ফতোয়া জারি করে। তা ছাপিয়ে গ্রামের সকলের বাড়িতে বাড়িতে বিলি করা হয়। কী রয়েছে সেই লিফলেটে? সেখানে বলা হয়েছে, গ্রামের কারও কোনও সমস্যা হলে থানায় যাওয়া চলবে না। নিজের সমস্যা জানাতে হবে গ্রাম্য কমিটিকে। বাড়িতে কোনও মাঙ্গলিক কিংবা পারলৌকিক কাজ করতে গেলে বসতে হবে গ্রাম্য কমিটিকে নিয়ে। গ্রামের কোনও ছেলে না জানিয়ে বিয়ে করে বউ নিয়ে ফিরলে অথবা গ্রামের মেয়ে বাড়ি ছেড়ে চলে গেলে, গ্রাম্য কমিটির ধার্য চাঁদার নামে জরিমানা দিতে হবে।

শুধু এতটুকুই নয়, একাধিক নিদান না মানলে দিতে হবে জরিমানা! বাড়ির দেওয়ালে এই নোটিস দেখেই হতবাক হয়ে যান স্থানীয় বাসিন্দারা। গ্রামবাসীদের প্রশ্ন ছিল, বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে কীভাবে এহেন নিদান দিতে পারে? স্থানীয়দের কথায়, “গ্রাম্য কমিটির নামে দেওয়া এই ধরনের ফতোয়া আসলে আমাদের মৌলিক অধিকারে হস্তক্ষেপ ছাড়া আর কিছুই নয়।”

এই ফতোয়া লিফলেট ঘিরে সোমবার থেকে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয় এলাকায়। বিজেপির অভিযোগ, গ্রাম্য কমিটির নামে তৃণমূল নেতারা এই ধরনের লিফলেট বিলি করে পঞ্চায়েত ভোটের আগে গ্রামবাসীদের ভয় দেখিয়ে ঘরে আটকে রাখতে চাইছে। ঘটনার নিন্দা করে অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। মহিষাদলের বিডিওর বক্তব্য ছিল, “এ ধরনের ফতোয়া বেআইনি। অভিযোগ এলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” এই খবর সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পরই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। রাতেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে শংকর ঘড়ুই, সুভাষ ঘড়ুই, তারক দাস, বাপি সাউ ও প্রণব দাসকে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen