মোদী সরকার উদাসীন, বোটানিক্যাল গার্ডেনের গরিমা রক্ষায় এগিয়ে এল বিদেশী সংস্থা

ভগ্নপ্রায় সেই ভবনের সংস্কার ও সংরক্ষণে উদ্যোগ নিয়ে রক্সবার্গ সাহেবের দেশের দুই সংস্থা এগিয়ে এল। জানা গিয়েছে, ভারতের একটি সংস্থাও যৌথভাবে কাজ করবে। রক্সবার্গ হাউসের পাশাপাশি সিডস হাউসও সংস্কার করা হবে বলে জানা গিয়েছে।

January 9, 2023 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

বাঙালির শীতকালের বেড়ানোর অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হল শিবপুর বোটানিক্যাল গার্ডেন (Botanical Garden)। কিন্তু রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে শ্রী হারাতে বসেছে বোটানিক্যাল গার্ডেন। শিবপুর বোটানিক্যাল গার্ডেনের ঐতিহ্য সংরক্ষণে কার্যত উদাসীন কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু শিবপুর বোটানিক্যাল গার্ডেনের গুরুত্ব উপলব্ধি করে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে বিদেশী সংস্থা।

ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির ব্রিটিশ সাহেব উইলিয়াম রক্সবার্গের উদ্যোগে ১৭৮৭ সালে শিবপুর বোটানিক্যাল গার্ডেনের গোড়াপত্তন হয়েছিল। উদ্ভিদবিদ্যার ছাত্র, গবেষকদের পীঠস্থান হিসেবে সারা বিশ্বেই খ্যাত শিবপুর বোটানিক্যাল গার্ডেন। এই উদ্যানের প্রনেতা, উইলিয়াম রক্সবার্গের স্মৃতিবিজড়িত রক্সবার্গ হাউস এখন ভগ্নপ্রায় অবস্থায় দাঁড়িয়ে রয়েছে। ভগ্নপ্রায় সেই ভবনের সংস্কার ও সংরক্ষণে উদ্যোগ নিয়ে রক্সবার্গ সাহেবের দেশের দুই সংস্থা এগিয়ে এল। জানা গিয়েছে, ভারতের একটি সংস্থাও যৌথভাবে কাজ করবে। রক্সবার্গ হাউসের পাশাপাশি সিডস হাউসও সংস্কার করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
 
জানা যাচ্ছে, স্কটল্যান্ডের কমনওয়েলথ হেরিটেজ ফোরাম, ইংল্যান্ডের রক্সবার্গ ইন্টারন্যাশনাল ট্রাস্ট এবং ভারতের আলিয়া অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটশ নামের তিনটি সংস্থা যৌথভাবে এই কাজ করবে। সম্ভাব্য খরচ ধরা হয়েছে ১০ লক্ষ মিলিয়ন পাউন্ড। সমীক্ষার কাজ ইতিমধ্যেই শেষ হয়ে গিয়েছে। রক্সবার্গ হাউস সংস্কার করে সেখানে ‘ফাদার অব ইন্ডিয়ান বোটানির নামে আন্তর্জাতিক মানের সংগ্রহশালা তৈরি করা হবে।

শিবপুর বোটানিক্যাল গার্ডেন বোটানিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার আওতাধীন। তিনটি সংস্থাকে সংস্কার ও সংরক্ষণের প্রয়োজনীয় অনুমতি দিয়েছে বিএসআই। এপ্রিলের মাঝামাঝি থেকে কাজ শুরু হবে বলে জানা গিয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের পরিবেশ ও বনমন্ত্রক বিএসআইয়ের আওতাধীন উদ্যানগুলির জন্য বছরে প্রায় ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দের আবেদন করলেও, মাত্র ৭৩ কোটি টাকা দেওয়া হয়। যার অধিকাংশ কর্মীদের বেতন দিতেই চলে যায়। পড়ে থাকা অর্থে উদ্যানের দেখভাল ও রক্ষণাবেক্ষণ কঠিন হয়ে পড়ে, এমনটাই বলেন বিএসআই কর্তারা।

বিএসআইয়ের ডিরেক্টর এ এ মাও বলেন, তারা বারবার সরকারের তরফে সাহায্য চেয়েও পাননি। তিনটি বেসরকারি সংস্থা কাজ করতে আগ্রহ দেখানোয় তারা অনুমতি দিয়েছেন।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen