বন সৃজনের মাধ্যমের রাজস্ব বৃদ্ধির পরিকল্পনা বন দপ্তরের

ন্ত্রী জানান, বনদপ্তর গত কয়েক মাসে প্রায় ৪০ লক্ষ গাছের চারা বিলি করেছে।

September 7, 2021 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

 রাজস্ব বৃদ্ধি করাই এখন বনদপ্তরের লক্ষ্য। এই লক্ষ্যমাত্রাকে স্পর্শ করতে তাই তারা হাতিয়ার করতে চাইছে বনসৃজনকে। যে গাছ লাগালে আগামী দিনে অর্থনৈতিক দিক থেকে লাভ হবে, রাজ্যজুড়ে সেই গাছের চারা রোপণ করতে চাইছে দপ্তর। পাশাপাশি বহু পুরনো যে সব গাছ নিষ্প্রাণ হয়ে গিয়েছে, তার কাঠ বিক্রি করেও তহবিলকে শক্তিশালী করার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।     


বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জানিয়েছেন, চন্দন, রোজউড, আগার প্রভৃতি অর্থকরী গাছ লাগানোর কথা ভাবা হয়েছে। বিশেষ করে চন্দন গাছ লাগানোর ব্যাপারে উৎসাহী বনদপ্তর। কর্ণাটক সহ যে সব রাজ্যে চন্দন গাছের চাষ হয়, সেখান থেকে চারা আনা হবে। একইসঙ্গে এই গাছের পরিচর্যার জন্য সেখান থেকে অভিজ্ঞ কর্মীদের এনে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে চাইছে দপ্তর।  পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্ৰাম প্রভৃতি জেলায় দপ্তরের নিজস্ব জমিতে এই গাছ লাগানো হতে পারে। বাণিজ্যিক ভিত্তিতে এই সব গাছের চাষ করতে পারলে নিশ্চিতভাবেই আয় বাড়বে বনদপ্তরের। পাশাপাশি ভেষজ গুণ রয়েছে, এমন গাছের চারা লাগিয়েও আয়ের রাস্তা খুলতে চাইছে দপ্তর। এর জন্য বিভিন্ন ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থার সঙ্গেও কথাবার্তা বলতে চাইছে তারা। বনমন্ত্রী বলেন, এই ধরনের গাছ লাগানো হতে পারে ঝাড়গ্ৰাম ও উত্তরবঙ্গে।


এদিকে, যে সব গাছ মাথা তুলে দাঁড়িয়ে থাকলেও নিষ্প্রাণ, কিংবা পরিণত হয়ে গিয়েছে, সেগুলি কেটে কাঠ বিক্রি করা হবে। ইতিমধ্যেই কাঠ বিক্রি করে কিছু টাকা সরকারের ঘরে এসেছে। গত তিন মাসে এই খাতে আয় হয়েছে প্রায় ৫০ কোটি টাকা। স্বচ্ছতা বজায় রাখতে কাঠের ই-অকশন করছে বন উন্নয়ন নিগম। পাশাপাশি কাঠ চুরি বন্ধ করতে বিভিন্ন বনাঞ্চলে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। 


মন্ত্রী জানান, বনদপ্তর গত কয়েক মাসে প্রায় ৪০ লক্ষ গাছের চারা বিলি করেছে। তার মধ্যে যদি অর্ধেক গাছও পরিণত হয়, তাহলে তা পরিবেশ রক্ষার কাজে বড় ভূমিকা নেবে। জ্যোতিপ্রিয়বাবু বলেন, কোনও ব্যক্তি বা সংস্থা গাছের চারা চাইলে তাঁরা তা বিনামূল্যে দেবেন। বড় আবাসন, বাণিজ্যিক বা শিল্প প্রকল্প এলাকায় কেউ গাছ লাগাতে চাইলে সেই প্রস্তাব নবান্নে পাঠাতে চাইছে বনদপ্তর। পাশাপাশি বেআইনিভাবে গাছ কাটলে আরও কড়া শাস্তির পক্ষে সওয়াল করেন তিনি। বলেন, প্রয়োজনে আইনে পরিবর্তন এনে তা কার্যকর করা হবে। এ নিয়ে ভাবনাচিন্তা চলছে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen