বারাসতের ‘শিবের কোঠা’- র প্রাচীনতম দুর্গাপুজোর অবাক করা রীতি
মহাত্মা শংকর চক্রবর্তী যশোর ছেড়ে দিল্লিতে বন্দিদশা শেষে বারাসতের দক্ষিণপাড়ায় আসেন। তিনিই প্রথম উমা বন্দনার শুরু।

বছরের পর বছর, যুগের পর যুগ কেটে গিয়েছে। বদলে গিয়েছে অনেক কিছু। তা সত্ত্বেও অমলিন বারাসতের (Barasat) ‘শিবের কোঠা’র ঐতিহ্য। তাই তো জোরকদমে চলছে উমা আগমনির প্রস্তুতি।
‘শিবের কোঠা’র উমা আগমনির নেপথ্যে রয়েছে নানা কাহিনি। আর তা জানতে চাইলে টাইম মেশিনে চড়ে ৪৫০ বছর পিছিয়ে যেতে হবে। বারাসতের দক্ষিণ পাড়ার এই পুজো প্রাচীনতম বলেই দাবি সংশ্লিষ্টদের। মহাত্মা শংকর চক্রবর্তী যশোর ছেড়ে দিল্লিতে বন্দিদশা শেষে বারাসতের দক্ষিণপাড়ায় আসেন। তিনিই প্রথম উমা বন্দনার শুরু। সেই থেকে আজও চলছে পুজো (Durga Puja 2021)।

পুজোর রীতি অনুযায়ী জন্মাষ্টমীতে হয় কাঠামো পুজো। মহালয়ার আগেই শেষ হয় প্রতিমা নির্মাণের কাজ। কারণ, প্রতিপদে শুরু হয় দেবী আরাধনা। বোধন হয় ষষ্ঠীতে। পুজোর চারদিন এলাকাবাসী মেতে ওঠেন উমা আরাধনায়। দশমীতে ম্লান আনন্দ। বারাসতের দক্ষিণ পাড়ায় বিষাদের সুর। ওইদিনই প্রতিমা নিরঞ্জন করা হয়। প্রতিমা নিরঞ্জনের পর সত্যনারায়ণ পুজো হয়। তারপরই শুরু হয় বিজয়া। মিষ্টিমুখ, কোলাকুলিতে মাতেন একে অপরে।
বছরের আর পাঁচটা দিন অন্যান্যদের মতো দৈনন্দিন ব্যস্ততাতেই কাটে দক্ষিণ বারাসতের বাসিন্দাদের। তবে পুজোর কটাদিনের অপেক্ষায় যেন মুখিয়ে থাকেন তাঁরা। ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত এলাকার প্রায় সকলেই ‘শিবের কোঠা’র উমা আরাধনায় অংশ নেন। অঞ্জলি থেকে প্রসাদ খাওয়া সবই একসঙ্গে করেন তাঁরা। প্রতিমা নিরঞ্জনেও অংশ নেন সকলেই। কারণ, এই কটাদিনের আনন্দই তো সারা বছরের অক্সিজেন জোগায় স্থানীয়দের।