ফুচকাতেই দিনগুজরান হয় গোটা গ্রামের, জানেন কোথায় রয়েছে ‘ফুচকা গ্রাম’?

এই ফুচকাই সকলের দৈনিক আহারের সংস্থান করছে। দুর্গাপুজোর দিনগুলিতে গ্রামের ফুচকা ব্যবসায়ীরা ভিন জেলাতে পাড়ি জমান।

August 28, 2023 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ফুচকার কথা শুনলেই জিভে জল আসে বাঙালির। পূর্ব বর্ধমানের কালনার সমুদ্রগড়ে রয়েছে ফুচকা গ্রাম, গ্রামের নাম নতুনপাড়া। গ্রামবাসীদের পেশা বলতে ফুচকা বানানো। এই ফুচকাই সকলের দৈনিক আহারের সংস্থান করছে। দুর্গাপুজোর দিনগুলিতে গ্রামের ফুচকা ব্যবসায়ীরা ভিন জেলাতে পাড়ি জমান।

একদা এই গ্রামের বাসিন্দাদের মুখ্য পেশা ছিল ধন সিদ্ধ করে চাল বানানো। সেই কাজ করে তাঁরা মজুরি পেতেন বটে, কিন্তু তাতে লাভের মুখ দেখতেন না কেউই। ফলে ভালভাবে বাঁচার তাগিদ থেকেই পেশা বদলে ফেলেছে নতুনপাড়া। গ্রামের অনেকেই এখন ফুচকা তৈরি করে সংসার চালান। আয়ও বেড়েছে তাঁদের। গ্রামের মেয়েরা ফুচকা তৈরি করেন। ছেলেরা নানান জায়গায় ঘুরে ঘুরে তা বিক্রি করেন। ১৮ থেকে ২০ বছর ধরে গ্রামের বাসিন্দারা ফুচকা তৈরি করছেন। নতুন প্রজন্মও ফুচকা বানানোর পেশায় ঝুঁকছে। গ্রামের পঞ্চায়েত সদস্যা রঞ্জিতা হালদারও পেশায় ফুচকা বিক্রেতা। বিভিন্ন ধরনের স্বাদের ফুচকাও তৈরি হয় এখানে। নানা ধরনের চকোলেটের স্বাদের ফুচকার দেখা পাওয়া যায়। এই নতুনপাড়া এলাকা ফুচকা গ্রাম হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের কথায়, ফুচকা বিক্রিতে নেমে তাঁদের আয় বেড়েছে। পরিশ্রম কমেছে। তাঁরা এখন লাভের মুখ দেখছেন।

গ্রামের ফুচকা বিক্রেতাদের কথায়, তাঁরা পুজোর সময় বিভিন্ন জেলা থেকে ডাক পান। পুজো উদ্যোক্তরা ডাকেন। চাহিদা এত বেশি থাকে যে, পুজোর পনেরো দিন আগে থেকেই ফুচকা মজুত করা আরম্ভ হয়। মজুত না করলে সামাল দেওয়া যায় না। পুজোর দিনগুলিতে বাড়ি ফেরার সময় থাকে না তাঁদের। বছরের অন্যান্য সময়ে স্থানীয় এলাকাতেই ফুচকা বিক্রি করেন গ্রামবাসীরা।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen