ফুলিয়ায় তাঁতশিল্পীদের থেকে ২৫ লক্ষ টাকার শাড়ি কিনল তন্তুজ

তবে শাড়ি কেনার সময় গুণগত মান যাচাই করে নেওয়া হচ্ছে।

September 6, 2020 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

পুজোর মানেই আনন্দ। উৎসবের রঙিন ছবি। কিন্তু, এবার শরতের শুরুতেই বিষাদের ছায়া পড়েছিল ফুলিয়ায়। দোরগোড়ায় পুজো এসে হাজির। কিন্তু, এখনও জমে উঠেনি পুজোর বাজার। তাই তাঁতশিল্পীদের কপালে দুশ্চিন্তার মেঘ জমেছিল। শিল্পীদের ঘরে জমে রয়েছে শাড়ি। অবশেষে রাজ্য সরকারের বস্ত্র বিপণন সংস্থা তন্তুজের উদ্যোগে সেই দুশ্চিন্তা কাটল। শনিবার নদীয়ার ফুলিয়ায় ক্যাম্প করে সরাসরি শিল্পীদের কাছ থেকে থেকে কেনা হল ২৫ লক্ষ টাকার শাড়ি। তাতে শিল্পীদের মুখে হাসিও ফুটেছে। তন্তুজের চেয়ারম্যান তথা বস্ত্রমন্ত্রী স্বপন দেবনাথ বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে শাড়ি কেনা চলছে। শিল্পীদের পাশে থাকাই আমাদের উদ্দেশ্য। তবে শাড়ি কেনার সময় গুণগত মান যাচাই করে নেওয়া হচ্ছে।

এ ব্যাপারে তন্তুজের ওএসডি মার্কেটিং শুভব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ফুলিয়া সমবায় সমিতির অফিসের একটি ঘরে একদিনের ক্যাম্পে ১০৪ জন তাঁতশিল্পীর কাছ থেকে ৩১০৮টি শাড়ি কেনা হয়েছে। যার মোট দাম ২৫ লক্ষ ৬৭ হাজার টাকা।

করোনা আবহে পুজোর আগে এই প্রথম তন্তুজের পক্ষ থেকে ফুলিয়াতে শাড়ি কেনা হল। তন্তুজের আধিকারিকদের পাশাপাশি রাজ্যের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী রত্না ঘোষ, জেলা পরিষদের সভাধিপতি রিক্তা কুণ্ড উপস্থিত ছিলেন। এ দিন ফুলিয়ায় শান্তিপুর, কৃষ্ণনগর, নবদ্বীপ, ধুবুলিয়া, রাজাপুর, রানাঘাট, চাকদহ সহ জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তাঁতশিল্পীরা এই ক্যাম্পে এসেছিলেন। এর আগে পূর্ব বর্ধমান, হাওড়া, হুগলি, পূর্ব মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, বিষ্ণুপুরে এই ধরনের ক্যাম্প করে শিল্পীদের থেকে সরাসরি কাপড় কেনা হয়েছে। এদিন নদীয়ার ফুলিয়ার ক্যাম্প দিয়েই পুজোর আগে তন্তুজ রাজ্যের ক্যাম্প শেষ করল। মন্ত্রী রত্না ঘোষ বলেন, করোনা আবহে তাঁতশিল্পীরা যে সমস্যায় পড়েছেন, তার দিকে তাকিয়েই সরাসরি কাপড় কেনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

পুজোর আগে প্রতিবছরই এই সময় তাঁতশিল্পীদের চরম ব্যস্ততা থাকে। রথযাত্রার পর থেকেই কলকাতা সহ ভিন রাজ্য থেকে শাড়ি তৈরির বরাত চলে আসে। কলকাতার বড় বাজার, কলেজ স্ট্রিট, শ্যামবাজার, ধর্মতলা, গড়িয়া সহ বড় বড় শপিং মলেও বিক্রি হয় ফুলিয়ার শাড়ি। শান্তিপুর শহর এবং ব্লকের দশটি গ্রামের প্রায় লক্ষাধিক মানুষ এখানকার তাঁতশিল্পের সঙ্গে যুক্ত। শাড়ি কেনার জন্য শিল্পীদের ঘরে লাইন পড়ে যেত। কিন্তু এবার সেই ছবি উধাও। তবে, সরকারের উদ্যোগে ক্যাম্প হওয়ায় অনেকটাই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন শিল্পীরা।

ফুলিয়া চটকাতলার তাঁতশিল্পী সঞ্জীব বসাক বলেন, পুজো আসছে। কিন্তু, বাজার মন্দা। তাই চিন্তায় ছিলাম। ক্যাম্প করায় আমরা অনেকটাই উপকৃত হলাম। তন্তুজ শাড়ির যে দাম দিয়েছে, তাতে আমরা খুশি।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen