ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের জের, সোনা-রুপোর দাম আকাশছোঁয়া, মাথায় হাত মধ্যবিত্তের
আসলে বাজার অনিশ্চয়তার মুখে পড়লেই এই ধরনের প্রবণতা তৈরি হয়। বরাবরই বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সোনায় ঝুঁকির পরিমাণ অত্যন্ত কম। আর তার ফলেই এই ধরনের পরিস্থিতিতে সোনাতেই বিনিয়োগ করতে চান লগ্নিকারীরা।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের (Russia-Ukraine War) প্রভাব। আর তার জেরেই সোমবার লাফিয়ে বেড়েছিল সোনা (Gold) ও রুপোর (Silver) দাম। মার্চের মাঝামাঝি সময় থেকে এত বেশি দামে পৌঁছয়নি সোনা-রুপোর দাম। শুধু ভারতই নয়, সারা বিশ্বেই এই পরিস্থিতি দেখা গিয়েছে। তবে মঙ্গলবার ক্রেতা ও লগ্নিকারীদের স্বস্তি দিয়ে কিছুটা কমতে দেখা গিয়েছে দুই মূল্য়বান ধাতুরই দাম।
কতটা বেড়েছিল দাম? সোমবার এমসিএক্স সূচকে ১০ গ্রাম সোনার দাম একধাক্কায় ০.৮৩ শতাংশ বেড়েছিল। যার ফলে তা ৪৩৯ টাকা বেড়ে পৌঁছে গিয়েছিল ৫৩ হাজার ৪৩১ টাকায়। পাশাপাশি ১ কেজি রুপোর দাম বেড়েছিল ১.০৩৮ শতাংশ বা ৯৫৬ টাকা। এর ফলে রুপোর দাম বেড়ে হয় ৬৯ হাজার ৯৮৮ টাকা।
তবে মঙ্গলবার এই দাম কমেছে। ১০ গ্রাম সোনার দাম এদিন ১৪০ টাকা কমেছে। ০.২৬ শতাংশ দাম কমে তা হয়েছে ৫৩ হাজার ১৩২ টাকা। এদিকে রুপোর দামও ২৫১ টাকা অর্থাৎ ০.৩৬ শতাংশ কমেছে। আপাতত তা দাঁড়িয়েছে ৬৯ হাজার ৭২৫ টাকায়।
কিন্তু কেন সোমবার এতটা বেড়ে গিয়েছিল সোনা-রুপোর দাম? কারণ, ইউক্রেনে রুশ হামলার জেরে সংশয়ে ভুগছেন বিনিয়োগকারীরা। ফলে তাঁরা সোনার মতো নিরাপদ ক্ষেত্রেই বিনিয়োগ করতে চাইছেন। এর জেরেই সোনার দাম লাফিয়ে বেড়েছে। আর তার ফলেই নাভিশ্বাস বাজারে।
এর আগে করোনা আবহেও একই ছবি দেখা গিয়েছিল। আসলে বাজার অনিশ্চয়তার মুখে পড়লেই এই ধরনের প্রবণতা তৈরি হয়। বরাবরই বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সোনায় ঝুঁকির পরিমাণ অত্যন্ত কম। আর তার ফলেই এই ধরনের পরিস্থিতিতে সোনাতেই বিনিয়োগ করতে চান লগ্নিকারীরা। ফলে দামও বাড়তে থাকে। এর জেরে সাধারণ মধ্যবিত্তদের পড়তে হয় সমস্যায়। এমনকী, সঞ্চয়ের ক্ষেত্রেও সাধারণ মধ্যবিত্তরা সোনার উপরই ভরসা করেন। কিন্তু দাম রেকর্ড গড়লে তাঁদের পক্ষে সোনা ক্রয় অসম্ভব হয়ে ওঠে।