ভাষা বিতর্কে রাজ্যপাল, গীতাপাঠের মঞ্চে দাঁড়িয়ে হিন্দিকে রাষ্ট্রভাষা আখ্যা আনন্দ বোসের

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৭:২৫: রবিবার ব্রিগেডে ৫ লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠের মঞ্চে হাজির হন রাজ্যপাল আনন্দ বোস। তাঁর উপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল-সিপিআইএম। এতেই শেষ নয়। ভাষা বিতর্কে জড়ালেন রাজ্যপাল। মঞ্চে দাঁড়িয়ে হিন্দিকে রাষ্ট্রভাষা বলে আখ্যা দিলেন তিনি। হিন্দিকে রাষ্ট্রভাষা বলায় রাজ্যপালের বিরুদ্ধে সরব হল তৃণমূল।
বক্তব্য রাখতে উঠে প্রথমেই রাজ্যপাল বলেন, “আমি হিন্দিতে কথা বলার চেষ্টা করব। ভুল হলে ক্ষমা করবেন। হিন্দি আমাদের রাষ্ট্র ভাষা। রাষ্ট্র ভাষা মা হয়। ইংরেজি দাই মা। দাই মা কখনওই মায়ের মতো হয় না।” এতেই তুঙ্গে উঠেছে বিতর্ক। উল্লেখ্য, ভারতের কোনও রাষ্ট্রভাষা নেই। সংবিধান স্বীকৃতি সব ভাষারই সমান মর্যাদা ও গুরুত্ব রয়েছে।
রাজ্যপালের এহেন মন্তব্যের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র অরূপ চক্রবর্তী। তিনি বলেন, “রাজ্যপালের পদ সাংবিধানিক পদ। রাজ্যপালের পদে বসে এই নির্লজ্জ মিথ্যাচার করা হচ্ছে। ভারতবর্ষের সংবিধানে কোনও রাষ্ট্রভাষা বলে শব্দ নেই। সংবিধানে ভারতবর্ষে প্রতিটা ভাষার সমান অধিকার রয়েছে। যাঁরা রাষ্ট্রভাষা বলে হিন্দিকে চাপিয়ে দিতে চায় তাঁরা হিন্দি সাম্রজ্যবাদের দালাল। রাজ্যপালও তাই। হিন্দি-ইংরাজি এখানে অফিসিয়াল কমিউনিকেশন ল্যাঙ্গুয়েজ।” আক্রমণের ঝাঁঝ আরও বাড়িয়ে অরূপ বলেন, “রাজ্যপাল আসলে একজন মিথ্যাবাদী, প্রতারক। উনি যখন জ্ঞানের বাণী দেন তখন বুঝতে হবে রামরাজ্য নয়, ওরা দানবের রাজত্ব চাইছে।”
প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক সময়ে হিন্দি আগ্রাসন নিয়ে বারে বারে তুঙ্গে উঠেছে বিতর্ক। বিজেপির বিরুদ্ধে হিন্দি আগ্রাসনের অভিযোগ উঠেছে দেশে। স্ট্যালিন-সহ দক্ষিণ ভারতের একাধিক নেতারা তার সরবও হয়েছেন। সরব হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।