একলাফে ৫ থেকে ১২, ইটের ওপর জিএসটি বৃদ্ধিতে বাড়বে বাড়ি তৈরির খরচ

করোনার কারণে এমনিতেই আবাসন শিল্পের অবস্থা খুব ভালো নয়। তার মধ্যে বাড়ি তৈরির বেশিরভাগ কাঁচামালের দাম এভাবে লাগামছাড়া হলে, বিপদে পড়বে সাধারণ মানুষ। শেষপর্যন্ত তাদেরই দাম চোকাতে হবে।

March 6, 2022 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

রাজ্যে আচমকা ঊর্ধ্বমুখী বালি ও সিমেন্টের দর। লাগামছাড়া ইস্পাতও। তাতে জোর ধাক্কা লেগেছে ইমারতি শিল্পে। সাধারণ মানুষের বাড়ি তৈরির খরচ বেড়েছে। ফ্ল্যাটের ক্ষেত্রেও এর প্রভাব দেখা যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে গোদের উপর বিষফোঁড়া হয়ে উঠতে চলেছে ইটের দাম। কারণ, আগামী এপ্রিল থেকে লাল ইটের জিএসটি পাঁচ থেকে বেড়ে ১২ শতাংশ হবে। করোনার কারণে এমনিতেই আবাসন শিল্পের অবস্থা খুব ভালো নয়। তার মধ্যে বাড়ি তৈরির বেশিরভাগ কাঁচামালের দাম এভাবে লাগামছাড়া হলে, বিপদে পড়বে সাধারণ মানুষ। শেষপর্যন্ত তাদেরই দাম চোকাতে হবে।

ইটভাটাগুলির সংগঠন বেঙ্গল ব্রিক ফিল্ড ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের অভিযোগ, কোনও আলোচনা ছাড়া একতরফা গা-জোয়ারি করেই জিএসটি ১২ শতাংশে নিয়ে গিয়েছে কেন্দ্র। ২০ লক্ষ টাকার নীচে ব্যবসা হলে সেই হার হবে ৬ শতাংশ। এখন যা মাত্র এক শতাংশ। ইটভাটা মালিকদের অভিযোগ, আগে কম জিএসটির জন্য ব্যবসার সীমা ছিল দেড় কোটি টাকা। সেটাও কোনও আলোচনা ছাড়াই ২০ লক্ষ টাকায় নামিয়ে আনা হয়েছে। ফলে ইটের দাম বাড়তে বাধ্য।

কিন্তু কতটা দাম বেড়েছে কাঁচামালের? আবাসন সংস্থাগুলির দাবি, এ রাজ্যে সিমেন্টের দাম বেড়েছে বস্তা প্রতি অন্তত ৫০ টাকা। ইস্পাতের ক্ষেত্রে মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে ৪০ শতাংশ। বালির দাম ছ’মাস আগেই দেড় গুণ বেড়েছিল। আবাসন নির্মাতা সংস্থাগুলির সংগঠন ক্রেডাইয়ের বেঙ্গল চ্যাপ্ট্যারের প্রেসিডেন্ট নন্দু বেলানি জানিয়েছেন, আর্থ-সামাজিক কারণে এমনিতেই মানুষের হাতে পয়সা নেই। তার উপর যেভাবে কাঁচামালের দাম বাড়ছে, তাতে ফ্ল্যাট বা বাড়ি তৈরির খরচ অন্তত ১৫ শতাংশ বাড়বে। সেই ব্যয়ভার বহন করতে হবে ক্রেতাকেই। এর সমাধান একটাই—হয় সরকারকে পদক্ষেপ নিতে হবে, নয়তো ভর্তুকি বা সমগোত্রীয় সুবিধা দিতে হবে ক্রেতাদের।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen