Haridevpur Shootout: মূল অভিযুক্তের পর এবার পুলিশের জালে শুটার

November 4, 2025 | 2 min read
Published by: Ritam

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১২:৩০: মূল অভিযুক্তের পর এবার পুলিশের জালে শুটারও। হরিদেবপুর শুটআউট কাণ্ডে মাত্র সাড়ে তিন ঘণ্টার মধ্যে সোমবারই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। সোমবার রাতে শুটারকে বালিগঞ্জের ডেরা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঘটনায় ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র বেহালার সরশুনা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।

সোমবার ঘটনার কয়েকঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছিল গুলিবিদ্ধ মহিলার প্রেমিক বাবলু ঘোষ। রাতে তার বন্ধু বাপ্পা দাসকে ধরে একদিনের মধ্যে এই ঘটনার কিনার করে ফেলল হরিদেবপুর থানার পুলিশ। বালিগঞ্জ থেকে ধৃত বাপ্পাই গুলি চালিয়েছিল বলে স্বীকার করেছে পুলিশি জেরায়।

সোমবার প্রাতঃভ্রমণের সময় প্রাণঘাতী হামলার শিকার হন হরিদেবপুরের বাসিন্দা মৌসুমী হালদার। পিছন থেকে বাইকে চেপে এসে দু’জন তাঁকে গুলি করে। পিঠে গুলি লাগায় তিনি প্রাণে বেঁচে যান। তাঁর বয়ান এবং পড়শিদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ তিন ঘণ্টার মধ্যে বাবলুকে গ্রেপ্তার করে। মৌসুমী ও বাবলুর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের টানাপোড়েনের জেরে এই হামলা বলে জানা যাচ্ছে। প্রেমের সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছিলেন মৌসুমী। আর তার জেরেই প্রাণে মেরে ফেলার ছক।

জেরায় বাবলু জানিয়েছে, ধৃত শুটার বাপ্পা তার বন্ধু। মদের আসরে দুই বন্ধুর মধ্যে একদিন এনিয়ে আলোচনা হয়। সব শুনে বাপ্পা নাকি বলেছিল, মৌসুমীকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেওয়ার কাজটা সে করে দেবে। দুই বন্ধু মিলে খুনের ষড়যন্ত্র করে। সোমবার সকালে খুনের চেষ্টা করা হয়। পিস্তল থেকে মৌসুমীকে গুলি করা হয়। তিনি বেঁচে যাবেন, তা কেউ ভাবতে পারেনি। শুটআউটের পর বাবলু ও বাপ্পা দু’দিকে পালানোর চেষ্টা করেছিল।

ধরা পড়ে বাপ্পার কথা জানায় বাবুল। তারপর বালিগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার হয় বাপ্পা। পুলিশ জানতে পেরেছে, পিস্তলটি বাবলুরই। সরশুনার এক ব্যক্তির কাছ থেকে সে পিস্তল পেয়েছিল। সেই পিস্তল থেকে বাপ্পা গুলি চালিয়েছিল। বাবলুর অবশ্য দাবি, সরশুনার ওই ব্যক্তি নাকি তাকে পিস্তলটি রাখতে বলেছিলেন। তারপর তিনি মারা যান।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen