গঙ্গায় ডুবতে থাকা মানুষকে বাঁচানোর জন্য হকারদের প্রশিক্ষণ শহরে
বহু মানুষের কলকাতার গঙ্গার ঘাটগুলিতে চায়ের বা অন্যান্য কিছুর দোকান রয়েছে। তাঁরা দিনভর দোকানদারি করেন আর সাক্ষী থাকেন রোজকার ঘটে চলা নানা ঘটনার। দেখেন দিনে-রাতে-সন্ধ্যায়-দুপুরে ঘাটের চরিত্র বদলে যায়। অন্ধকারে অপরাধমূলক কাজ হয়। ভোরে দেখা যায় শরীরচর্চা। দুপুরের পর গঙ্গার পাড় সাক্ষী থাকে প্রেমের ভাঙা-গড়ার খেলার। কখনও চিৎকার শোনেন। বোঝেন জলে ডুবে গিয়েচেন কেউ, পাড় থেকে চিৎকার করছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।

নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি: বহু মানুষের কলকাতার গঙ্গার ঘাটগুলিতে চায়ের বা অন্যান্য কিছুর দোকান রয়েছে। তাঁরা দিনভর দোকানদারি করেন আর সাক্ষী থাকেন রোজকার ঘটে চলা নানা ঘটনার। দেখেন দিনে-রাতে-সন্ধ্যায়-দুপুরে ঘাটের চরিত্র বদলে যায়। অন্ধকারে অপরাধমূলক কাজ হয়। ভোরে দেখা যায় শরীরচর্চা। দুপুরের পর গঙ্গার পাড় সাক্ষী থাকে প্রেমের ভাঙা-গড়ার খেলার। কখনও চিৎকার শোনেন। বোঝেন জলে ডুবে গিয়েচেন কেউ, পাড় থেকে চিৎকার করছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
এবার তাঁদের জন্য অভিনব একটি উদ্যোগ নিয়েছে একটি সংস্থা। তারা হকারদের ক্লাস নিচ্ছে। ঘাট পরিচ্ছন্ন রাখতে কি করা উচিত তা শেখাচ্ছে। প্রাণহানি আটকাতে সাঁতার জানা হকারদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করছে। ঘাট তৈরির ইতিহাস শোনাচ্ছে। ঐতিহাসিক মূল্য সম্পর্কে জানাচ্ছে। এই কর্মসূচির নাম দেওয়া হয়েছে ‘রিভার অ্যাম্বাসাডর’। উদ্যোগী সংস্থার কর্ণধার লাইলি থম্পসন বলেন, ‘চাঁপাতলা ঘাট থেকে এই পাইলট প্রজেক্ট শুরু হয়েছে। তিন বছরের মধ্যে হকারের সংখ্যা ১০০ করার পরিকল্পনা। এই মুক্ত জায়গাগুলি পরিচ্ছন্ন রাখা দরকার। এই এলাকায় যাঁরা কাজ করেন তাঁদের ছাড়া এ কাজ সম্ভব নয়। তাই তাঁদের সংযুক্ত করা হয়েছে।’ সকলকে সচিত্র পরিচয়পত্র দেওয়া হয়েছে।
ইতিমধ্যেই চা বিক্রেতাদের আবর্জনা ফেলার বালতি দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার চাঁপাতলা ঘাটে ১৬ জন চা-ঘটি গরম বিক্রেতাও উপস্থিত হয়েছিলেন। এই উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত সি এক্সপ্লোরার ইনস্টিটিউট। ওই প্রতিষ্ঠানের সম্পাদক নীলেন্দ্র সরকার। তিনি বলেন, ‘এই ঘাটে ডুবে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটলে সকলের আগে হকাররাই দেখতে পান। তাই যাঁরা সাঁতার জানেন, আমরা তাঁদের প্রশিক্ষণ দেব।’ তথ্য বলছে, গত বছর হুগলি নদীতে জলে ডুবে মারা গিয়েছেন ১৭৪ জন। সেই সংখ্যা সামান্য হলেও কমানো সংস্থার উদ্দেশ্য। এই উদ্যোগে খুশি হকাররাও।