বাংলার দুগ্গা পুজো: শতাব্দী প্রাচীন নদীয়ার ‘বুড়ো মা’ পুজোর ইতিহাস

কথিত আছে সেই সময় মায়ের স্বপ্নাদেশ পেয়ে তিনি পাঁচ বাড়ি ভিক্ষা করে রানাঘাটে দুর্গা পুজোর সূচনা করেন। সেই থেকেই দেবী দুর্গা রানাঘাটে ‘বুড়ো মা’ নামে পরিচিত।

October 6, 2023 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ৭৬১ বছরের প্রাচীন নদীয়ার বুড়ো মার পুজো। রানাঘাটের শর্মা বাড়ির এই দুর্গাপুজো ‘বুড়ো মা’ খ্যাত। ১২৬২ খ্রিস্টাব্দে এই পুজোর প্রচলন করেছিলেন রামকুমার চক্রবর্তী। শোনা যায়, তিনি নিজে দুর্গাপুজো করতেন।

রামকুমার চক্রবর্তী পায়ে হেঁটে রাঢ়বঙ্গ থেকে ভ্রমণ থেকে ফেরার সময় অধুনা ব্রহ্মডাঙ্গা বর্তমান রানাঘাটে পৌঁছান। কথিত আছে সেই সময় মায়ের স্বপ্নাদেশ পেয়ে তিনি পাঁচ বাড়ি ভিক্ষা করে রানাঘাটে দুর্গা পুজোর সূচনা করেন। সেই থেকেই দেবী দুর্গা রানাঘাটে ‘বুড়ো মা’ নামে পরিচিত।

তবে কার‌ও মতে আলীবদ্দী খাঁর সময় আবার কার‌ও মতে রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের আমল থেকে শুরু হয়। চাকদহ ব্লকের চাঁদুড়িয়া এক নম্বর জিপির মনসাপোতার বুড়োমাতলা। এক মাত্র ঢাকের বাদ্যিতে নিষ্ঠাসহকারে আজও পূজিত হোন মা।

যাইহোক, অষ্টমী উপলক্ষে্য মন্দির চত্বরে বহু লোকের সমাগম ঘটে। প্রাচীন ঐতিহ্য অনুসারে আজও মালো সম্প্রদায় দেবীর প্রতিমা নিয়ে আসেন এবং বিসর্জনের জন্য নিয়ে যান। একসময় প্রদীপের আলোতে বৃদ্ধ ঢাকি ঢাকের বাজনায় পুজো হত এখানে।

জানা গিয়েছে, নদীয়ার রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের আনুকূল্যে এই পুজোর ব্যাপ্তি লাভ করে। উল্টোরথের দিন পাটে সিঁদুর দিয়ে দেবী প্রতিমা তৈরীর কাজ শুরু হয়। চতুর্থীতে পাটে ওঠেন ‘বুড়ো মা’। পঞ্চমীতে মাকে গহনা পরানোর পর ষষ্ঠী থেকে শুরু হয় পুজো। প্রতিদিনই নয় রকমের ভাজার সঙ্গে মাকে বিভিন্ন রকমের ভোগ নিবেদন করা হয় । প্রতিদিনই এই পুজোয় হাজার হাজার মানুষের সমাগম হয় এই পুজোয়। অনেক ভক্তরা আবার মনোবাসনা পূরণ হলে দেবীর সামনে ধুনো জ্বালায়।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen