পুজোতে বাহারি থালির হোম ডেলিভারি, উদ্যোগী পঞ্চায়েত দপ্তর

পঞ্চায়েত দপ্তরর সুসংহত এলাকা উন্নয়ন পর্ষদের(সিএডিসি) উদ্যোগে লক্ষ্মীপুজো ও তার পরের দিন পর্যন্ত ওই থালির হোম ডেলিভারি দেওয়া হবে। তারপর ফের কালীপুজো থেকে অনলাইনে ওই থালির হোম ডেলিভারি দেওয়া শুরু হবে, যা ভাইফোঁটা পর্যন্ত চলবে।

October 30, 2020 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

‘এসো, বসো আহারে’। আমন্ত্রণ জানাচ্ছে পঞ্চায়েত দপ্তর। পুজো মরশুমে রান্নার ঝক্কি নেই। কেবল মোবাইল খুলে একটু আঙুল চালাতে হবে। দুর্গাপুজোয় জনপ্রিয়তা পেয়েছিল পঞ্চায়েত দপ্তরের অনলাইন থালি। সেই জনপ্রিয়তাকে হাতিয়ার করে লক্ষ্মীপুজো, কালীপুজো ও ভাইফোঁটাতেও থালির পসরা সাজাচ্ছে পঞ্চায়েত দপ্তর। ‘রেস্তরাঁর স্বাদে ঘরোয়া খাবার’-এর সেই থালির ইতিমধ্যেই অনলাইনে দেদার বুকিং শুরু হয়েছে। স্যোশাল মিডিয়ায় আবেদন চাওয়া শুরু করার পর মাত্র একদিনের মধ্যে প্রায় তিনশো আবেদন জমা পড়েছে। পঞ্চায়েত দপ্তরর সুসংহত এলাকা উন্নয়ন পর্ষদের(সিএডিসি) উদ্যোগে লক্ষ্মীপুজো ও তার পরের দিন পর্যন্ত ওই থালির হোম ডেলিভারি দেওয়া হবে। তারপর ফের কালীপুজো থেকে অনলাইনে ওই থালির হোম ডেলিভারি দেওয়া শুরু হবে, যা ভাইফোঁটা পর্যন্ত চলবে।

শুরু থেকেই বাঙালি পদ খাওয়ানোর উপরে জোর দিয়েছিল সিএডিসি। সেই মোতাবেক লক্ষ্মীপুজোয় দু’ধরনের থালি করা হচ্ছে। একটি থালিতে থাকছে খিচুড়ি বেগুন ভাজা, লাবড়া ও পায়েস। অন্য থালিতে থাকছে পোলাও, ছানার ডালনা, পায়েস। দু’টি থালিই অনলাইনে পাওয়া যাবে ১৭৫ টাকায়। চাইলে দু’টি থালিকে একত্রিত করেও নেওয়া যাবে। সেক্ষেত্রে দাম হবে ২৮০ টাকা। কালীপুজো ও ভাইফোঁটাতে গলদা চিংড়ি, ইলিশ মাছ ও মিষ্টির রকমারি আয়োজন করার পরিকল্পনা চলছে। রাজ্য পঞ্চায়েত দপ্তরের বিশেষ সচিব সৌম্যজিৎ দাস বলেন, ‘দুর্গাপুজোতে আমাদের আয়োজন মানুষের মধ্যে বিপুল সাড়া ফেলেছিল। মানুষের সেই আগ্রহই আমাদের প্রেরণা দিয়েছে। ইতিমধ্যেই আমরা অভাবিত সাড়া পেয়েছি। এই উদ্যোগ কালীপুজো থেকে ভাইফোঁটা পর্যন্ত তিনদিন চালু রাখার সিদ্ধান্ত আমরা নিয়েছি।’ পরিকল্পনার মার্কেটিং কো-অর্ডিনেটার স্বাগতা রায় বলেন, ‘ফেসবুক ও দপ্তরের পেজ ছাড়াও তিনটি হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে আমাদের বুকিং হবে। ৯১৬৩১২৩৫৫৬, ৮১৭০৮৮১৭৯৪ ও ৭০৪৪৬৬৩৬৩১ এই তিনটি নম্বরে হোয়াটসঅ্যাপ মারফত বুকিং করা যাবে। কলকাতার নির্দিষ্ট কিছু এলাকাতেই আমরা আপাতত হোম ডেলিভারি দেব। তবে ভবিষ্যতে এই পরিকল্পনাকে আরও ছড়িয়ে দেওয়ার ভাবনা আছে।’

সিএডিসি-র তরফে গত কয়েকবছর ধরেই পুজোর সময় কাউন্টার করে নানা ধরনের খাবার বিক্রি শুরু হয়েছিল। একদিকে পর্ষদের ব্র্যান্ডিং, স্বনির্ভর গোষ্ঠীর আর্থিক উন্নতি অন্যদিকে ভালো খাবার খাওয়ানোর পরিকল্পনা নিয়ে ময়দানে নেমেছিল পঞ্চায়েত দপ্তর। এ বছরের করোনা মহামারী পর্বে সেই পরিকল্পনাকে আরও একধাপ এগিয়ে হোম ডেলিভারি চালু করে সিএডিসি। সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত বিশেষ ধরনের থালির জোগান দিয়ে শেষ করতে পারেনি উদ্যোক্তারা। পুজোর মধ্যে শুধু অনলাইনেই বিক্রি হয়েছে প্রায় ৫ লক্ষ টাকার। এ ছাড়া স্টল মারফত বিক্রি হয়েছে প্রায় ৪ লক্ষ টাকার।  থালির সম্ভারের সামনে স্বয়ং পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen