মোদীর ভারতে ‘মমতা মডেল’-এ ভর করেই গ্রামীণ অর্থনীতির চাকা ঘুরছে

হাউজহোল্ড কনজামশন এক্সপেন্ডিচার সার্ভে রিপোর্টে জানা যাচ্ছে, ২০২৪ সালের দ্বিতীয়ার্ধ থেকে গ্রামীণ ভারতে পণ্য ক্রয়ের পরিমাণ বাড়তে শুরু করেছে।

January 2, 2025 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: কেউ বলেন রেউড়ি, এলিটদের ভাষায় ভিক্ষা কিন্তু আম জনতার হাতে টাকা পৌঁছে দেওয়া সামাজিক প্রকল্পগুলোই হল অর্থনীতির চালিকাশক্তি, অর্থনীতিবিদেরাও তা মানছেন। কেবল জনসাধারণের উন্নতি যে হচ্ছে তা নয়, রাজনৈতিক দলগুলোও সুফল পাচ্ছে ভোটবাক্সে। এ ধরনের যাবতীয় প্রকল্পের রূপকার হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সরকারের চালু করা কন্যাশ্রী, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মতো প্রকল্প মানুষের হাতে সরাসরি টাকা পৌঁছে দিয়েছে। ঘুরেছে অর্থনীতির চাকা। গোটা দেশ মমতা মডেলের অনুকরণ করছে। একে মমতার লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের অনুসরণে তৈরি হচ্ছে মাহাতারি বন্ধন, লাডলি বহেন, মাঈয়া সম্মান যোজনা। ঝাড়খণ্ড থেকে মহারাষ্ট্র সকলেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেখানো পথে চলছেন। কার্যত আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতির সিলমোহর পড়েছে জনস্বার্থবাহী সরকারি প্রকল্পয়। ইয়ারএন্ড রিভিউয়ে ভারতের রাজনীতি এবং ভোটের ইস্যুতে স্কিম অব দ্য ইয়ার লক্ষ্মীর ভাণ্ডার।

হাউজহোল্ড কনজামশন এক্সপেন্ডিচার সার্ভে রিপোর্টে জানা যাচ্ছে, ২০২৪ সালের দ্বিতীয়ার্ধ থেকে গ্রামীণ ভারতে পণ্য ক্রয়ের পরিমাণ বাড়তে শুরু করেছে। দাবি, এই প্রবণতা সরকারি অনুদান প্রকল্পগুলির সুফল। মাসে বা বছরে নানাবিধ প্রকল্পে অর্থসাহায্য মেলায় গরিব, নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত মানুষ সংসার খরচের বাইরেও কিছু কিছু পণ্য কেনার মতো সাশ্রয় করে উঠতে পারছেন। স্বল্প হারে হলেও গ্রামীণ ভারতে ভোগ্যপণ্য সেক্টরের বিক্রি বেড়েছে। গ্রামীণ ভারতে বিগত বছরের তুলনায় সাড়ে ৩ শতাংশ বেড়েছে অতিরিক্ত পণ্য ক্রয় প্রবণতা।

সমীক্ষায় উঠে এসেছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পথ দেখাচ্ছেন। সবথেকে বেশি জনস্বার্থবাহী সরকারি অর্থসাহায্যপ্রাপ্ত রাজ্যগুলিতে গ্রামাঞ্চলের পণ্য ক্রয় বৃদ্ধি পেয়েছে। তালিকায় শীর্ষে বাংলা ও ছত্তিশগড়। এক বছর আগে বাংলা ছিল সরকারি সাহায্য প্রদানে শীর্ষে। দ্বিতীয় ছিল ছত্তিশগড়। সদ্য সমাপ্ত বছরে ছত্তিশগড় এক নম্বরে। বাংলা দ্বিতীয় হয়েছে খুব স্বল্প ব্যবধানে। এর মাধ্যমে সুফলও মিলছে অর্থনীতিতে। গ্রামীণ মানুষের কাছে অতিরিক্ত অর্থ আসায় তারা অতিরিক্ত খরচ করতে সক্ষম হয়েছে। বাজারে টাকার জোগান বাড়ছে। পণ্যের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। চাহিদা বৃদ্ধি পেলে উৎপাদন বাড়বে। উৎপাদন ক্ষেত্রে সরকারি অনুদান প্রদান কর্মসূচি অনুঘটক রূপে কাজ করছে।

পার ক্যাপিটা কনজামশন ভ্যালুতে দেখা যাচ্ছে, এক বছরে মাথাপিছু গড় ক্রয়ক্ষমতা ৩,৮৬০ টাকা থেকে বেড়ে ৪,২৪৭ টাকা হয়েছে। সরকারি সহায়তায় সাধারণ মানুষ গড়ে ৩৫০ টাকার বেশি খরচ করতে পেরেছে। শহর এলাকায় ভ্যালু বেড়েছে ১.১৭ শতাংশ। গ্রামাঞ্চলে বেড়েছে সাড়ে ৩ শতাংশ। বাংলায় ৫.৩৯ শতাংশ বেড়েছে। ন্যাশনাল স্ট্যাটিসটিক্যাল কমিশনের মতে, প্রবণতার প্রধান কারণ ওয়েলফেয়ার স্কিম অর্থাৎ সরাসরি সরকারের আর্থিক অনুদান।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen