আঙুলের ছাপ কিংবা চোখের মণি নয়, আগামী দিনে শুধু ফেস অথেন্টিকেশনের মাধ্যমে হবে আধার যাচাই

দপ্তরের কর্তারা জানাচ্ছেন, এব্যাপারে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগানো শুরু হয়েছে।

January 24, 2025 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: আঙুলের ছাপ কিংবা চোখের মণি নয়, আগামী দিনে শুধু ফেস অথেন্টিকেশন বা মুখমণ্ডলের ছবির মাধ্যমেই হবে আধার যাচাই। এব্যাপারেই আরও বেশি করে গুরুত্ব দিতে চাইছে আধার কর্তৃপক্ষ বা ইউআইডিএআই। দপ্তরের কর্তারা জানাচ্ছেন, এব্যাপারে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগানো শুরু হয়েছে।

নতুন করে কোন কোন পরিষেবাকে আধারভিত্তিক করা যায়, তার জন্য দেশজুড়ে ধারাবাহিক আলোচনা পর্ব শুরু করেছে ইউআইডিএআই। তাদের প্রাথমিক টার্গেট সুরক্ষিত লেনদেন। আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে মুখের ছবির মাধ্যমে আধার যাচাইয়ের পদ্ধতিকে কীভাবে আরও বেশি করে কাজে লাগানো যায়, তার খোঁজ পেতে নন ব্যাঙ্কিং আর্থিক সংস্থা (এনবিএফসি) এবং আর্থিক লেনদেন সহায়তা প্রদানকারী প্রযুক্তি সংস্থাগুলির সঙ্গে বৈঠক করছে তারা। আলোচনা চলছে টেলিকম সংস্থাগুলির সঙ্গেও।

বর্তমানে সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা মিলিয়ে মোট ৯২টি প্রতিষ্ঠানে আধার যাচাইয়ের ক্ষেত্রে ফেস অথেন্টিকেশন ব্যবহার করা হয়। এক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। স্মার্টফোনে অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস প্ল্যাটফর্ম মারফত তা সম্ভব হয়। ২০২১ সালের নভেম্বর থেকে মুখমণ্ডলের ছবি মিলিয়ে আধার যাচাইয়ের কাজ শুরু করেছিল কেন্দ্র। ইতিমধ্যেই দেশে এর মাধ্যমে ১০০ কোটি লেনদেন হয়েছে বলে দাবি আধার কর্তৃপক্ষের। তাদের মতে, লেনদেন ৫০ কোটি থেকে ১০০ কোটিতে পৌঁছতে মাত্র ৫ মাস সময় লেগেছে।

কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছে, আঙুলের ছাপ ও চোখের মণি দিয়ে যাচাইয়ের ক্ষেত্রে সাফল্যের হার এখনও পর্যন্ত ৮১ শতাংশ। কিন্তু মুখমণ্ডলের ছবির ক্ষেত্রে তা ৮৪ শতাংশ। যদিও কম আলোর মতো প্রাকৃতিক সমস্যার কারণে এই পদ্ধতি সবসময় ব্যবহার করা যায় না। কিছু স্মার্টফোনেও এই সুবিধা নেই। গুগল ও অন্যান্য অ্যাপ সিকিউরিটি সাপোর্ট করে না যে ডিভাইসগুলিতে, সেখানেও ফেস অথেন্টিকেশন ব্যবহার করা যায় না। তাই ১০০ শতাংশ সাফল্য অধরা।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen