দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে হেরে মহিলা বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেল ভারত
একটা নো বলই ঘুরিয়ে দিল ম্যাচ

একটা নো বলই ঘুরিয়ে দিল ম্যাচ। মহিলা বিশ্বকাপে (ICC Women’s World Cup) দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে জয়ের দোরগোড়া থেকে হারতে হল ভারতকে। যার ফলে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেলেন ভারতের মেয়েরা। মিতালি রাজ, ঝুলন গোস্বামীদের বিশ্বজয়ী হওয়ার স্বপ্নও অধরাই থেকে গেল। বিশ্বকাপে নিজের শেষ ম্যাচে চোটের জন্য খেলতেই পারলেন না ঝুলন।
এদিন টস জিতে ভারত প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয়। শুরুটা বেশ ভাল করে ভারত। দুই ওপেনার স্মৃতি মান্ধানা ও শেফালি ভার্মা ওপেনিং জুটিতে ৯১ রান জোড়েন। শেফালি ভার্মা ব্যক্তিগত ৫৩ রানে আউট হন। ইয়াস্তিকা ভাটিয়া ব্যক্তিগত ২ রানে ফেরেন। দ্রুত ইয়াস্তিকা ভাটিয়া ফিরে যাওয়ার পরে স্মৃতি মান্ধানা ও মিতালি রাজ ৮০ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। ব্যক্তিগত ৭১ রানে ফেরেন স্মৃতি মান্ধানা (Smriti Mandhana)। এরপরে ভারতীয় ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ করেন মিতালি (Mithali Raj) ও হরমনপ্রীত। মিতালি ফেরেন ৬৮ রানে। পূজা বস্ত্রকার আউট হন ব্যক্তিগত ৩ রানে। রিচা ঘোষও (৮) ব্যর্থ হন। হরমনপ্রীত ভাল খেললেও পঞ্চাশ করতে পারেননি। ৪৮ রানে থামেন তিনি। একসময়ে অবশ্য মনে হয়েছিল ভারত তিনশো ছুঁতে পারবে। সেই জায়গায় ভারত ৭ উইকেটে করে করে ২৭৪ রান।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা দুর্দান্ত করে প্রোটিয়ারা। লিজলি লি মাত্র ৬ রানে রান আউট হয়ে গেলেও দ্বিতীয় উইকেটের জুটিতে লরা উলভার্ট এবং লারা গুডাল তোলেন ১২৫ রান। এই জুটির বিশাল রানই ম্যাচ ভারতের হাত থেকে অনেকটা দূরে নিয়ে চলে গিয়েছিল। এরপর টিম ইন্ডিয়া (Team India) কিছুটা কামব্যাক করার চেষ্টা করে। এরপর সীমিত সময়ের ব্যবধানে গোটা তিনেক উইকেটও তুলে নেয় ভারত। কিন্তু শেষদিকে ৯ বলে ১৭ রানের ইনিংস খেলে ভারতের হাত থেকে বের করে নিয়ে যান ট্রায়ন। শেষ দিকে ডু’ পেরেজ মাথা ঠান্ডা রেখে দলকে ম্যাচ জিতিয়ে দেন। শেষ দু’ ওভারে জয়ের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার প্রয়োজন ছিল ১৪ রান। সেখান থেকে একটা সময় ৩ বলে ৪ রান পর্যন্ত ম্যাচ টেনে নিয়ে যান ভারতের বোলাররা। শেষ ওভারের চতুর্থ বলে প্রোটিয়া ব্যাটার লং অনে ক্যাচ দিয়ে দেন। কিন্তু তার পরই দেখা যায় সেটি নো বল ছিল। আর ওই নো বলের জন্য হারতে হয় ভারতকে।
ভারতের হারের ফলে সেমিফাইনালে চলে গেল অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ। নিজেদের শেষ বিশ্বকাপেও বিশ্বজয়ী হওয়ার স্বপ্ন পূরণ করতে পারলেন না মিতালি রাজ, ঝুলন গোস্বামীরা।