“ভণ্ডামি ও দ্বিচারিতা বন্ধ করুন”, জাতিসংঘে পাকিস্তানকে ভারতের তোপ

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৭:৩০: জাতিসংঘে পাকিস্তানকে কড়া বার্তা দিল ভারত। শুক্রবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ভারতের স্থায়ী মিশনের ফার্স্ট সেক্রেটারি ভাবিকা মঙ্গলানন্দন স্পষ্ট ভাষায় জানালেন, পাকিস্তান যেন তার দখলে থাকা কাশ্মীর অঞ্চলে মানবাধিকার লঙ্ঘন বন্ধ করে। তিনি বলেন, “গত কয়েক সপ্তাহেই পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের দোসররা কাশ্মীরের দখলকৃত অঞ্চলে বহু নিরপরাধ সাধারণ মানুষকে হত্যা করেছে, যারা শুধু নিজেদের মৌলিক অধিকার ও স্বাধীনতার দাবিতে রাস্তায় নেমেছিল।”
ভারতীয় কূটনীতিকের অভিযোগ, পাকিস্তান তার দখল করা কাশ্মীরে জনগণের ওপর সামরিক দমননীতি চালাচ্ছে, ভয় দেখাচ্ছে এবং অবৈধভাবে সম্পদ লুট করছে। মঙ্গলানন্দন বলেন, “পাকিস্তানের ভণ্ডামি ও দ্বিচারিতা এই সভার মনোযোগ পাওয়ার যোগ্য নয়। বারবার মিথ্যা অভিযোগ আর প্রচারণা চালিয়ে সত্যকে আড়াল করা যায় না।”
তিনি আরও জানান, কাশ্মীরের মানুষ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অংশ নিচ্ছে, ভোট দিচ্ছে—এটাই ভারতের গণতন্ত্রের প্রমাণ। পাকিস্তানের মিথ্যা প্রচারে বিভ্রান্ত না হতে বিশ্বের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
ভারত স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে, জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ ভারতের অবিচ্ছেদ্য ও অবিচল অংশ। পাকিস্তান যে জাতিসংঘের রেজোলিউশন ৪৭ অনুযায়ী কাশ্মীর থেকে সেনা প্রত্যাহার করেনি, সেটিও তিনি উল্লেখ করেন।
ভারতীয় প্রতিনিধি আরও বলেন, ভারতের মানবাধিকার রক্ষার মূল ভিত্তি মহাত্মা গান্ধীর অহিংসা ও সমতার আদর্শে গঠিত। ভারতের সংবিধান সেই চেতনায় প্রতিষ্ঠিত, আর বিচারব্যবস্থা ও মানবাধিকার কমিশন—সব মিলিয়ে দেশে মানবাধিকার সুরক্ষার কাঠামো আরও মজবুত হয়েছে।
এই বক্তব্যে ভারত স্পষ্ট করে দিল—পাকিস্তান যতই কূটনৈতিক মঞ্চে মিথ্যা অভিযোগ তুলুক, সত্য বদলানো যাবে না। জম্মু-কাশ্মীর ভারতেরই অংশ, এবং সেখানে মানবাধিকার রক্ষায় ভারত প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।