১ এপ্রিল থেকে ৪৫ উর্ধ্বদের ভ্যাকসিন

করোনার বিরুদ্ধে গত এক বছরের বেশি সময় ধরে লড়াই করছে সমগ্র বিশ্ব। মাঝে দীর্ঘ দিন জারি ছিল লকডাউন। ভারতেও সেই নিয়মের ব্যতিক্রম হয়নি। এরই মাঝে তাক লাগিয়ে ভারতের মাটিতে তৈরি হয়েছে করোনার একাধিক ভ্যাকসিন। যা আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মঞ্চেও হাতিয়ার করেছে দিল্লির সাউথ ব্লক।

March 23, 2021 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

করোনা ভ্যাকসিন (Covid Vaccine) নিয়ে নয়া সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র। ১ এপ্রিল থেকে ৪৫ উর্ধ্বদের ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু করছে কেন্দ্র সরকার। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর মঙ্গলবার এক সাংবাদিক বৈঠক করে একথা জানান। এর আগে কোমরবিডিটি থাকলে তবেই ৪৫ উর্ধ্বদের ভ্যাকসিন মিলত।

তিনি বলেন, দেশে পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন মজুত আছে। ১ এপ্রিল থেকে ৪৫ উর্ধ্বদের ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হচ্ছে। তাদের সরকার নির্ধারিত পদ্ধতিতে নাম নথিভুক্ত করার কথা বলা হচ্ছে।

করোনার বিরুদ্ধে গত এক বছরের বেশি সময় ধরে লড়াই করছে সমগ্র বিশ্ব। মাঝে দীর্ঘ দিন জারি ছিল লকডাউন। ভারতেও সেই নিয়মের ব্যতিক্রম হয়নি। এরই মাঝে তাক লাগিয়ে ভারতের মাটিতে তৈরি হয়েছে করোনার একাধিক ভ্যাকসিন। যা আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মঞ্চেও হাতিয়ার করেছে দিল্লির সাউথ ব্লক।

করোনার মোকাবিলায় সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে লড়াই করা যোদ্ধাদের শুরুতে করোনার ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছিল। মাস খানেক ধরে চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশ, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের দেওয়া হয় করোনার ভ্যাকসিন। এরপর মার্চ মাসের শুরুর দিন থেকে ৬০ বছরের উর্ধ্ব ও ৪৫ উর্ধ্ব কোমরবিড ব্যক্তিদের ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু করে কেন্দ্র।

আর এবার তৃতীয় ধাপে ৪৫ উর্ধ্বদের ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু করছে কেন্দ্র। এদিকে গতকালই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছিল, কোভিশিল্ড টিকার ক্ষেত্রে দুটি ডোজের মাঝের সময়সীমা ৬-৮ সপ্তাহ রাখতে হবে৷ অর্থাৎ প্রথম ডোজ নেওয়ার অন্তত ৬-৮ সপ্তাহ পর দ্বিতীয় ডোজ নিতে হবে৷

আজ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর গলাতেও একই সুর শোনা গেল। তিনি বলেন, বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনে কোভিশিল্ড টিকার দুটি ডোজের মধ্যে ৬-৮ সপ্তাহের ব্যবধান রাখা হবে। এই মর্মে সব রাজ্যগুলি ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে বলে খবর।

এদিকে যত দিন যাচ্ছে দেশে সংক্রমণ ততই লাগামছাড়া হয়ে উঠছে। গত ২৪ ঘণ্টায় এই মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৪১ হাজার মানুষ। এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে আরও ১৯৯ জনের। দৈনিক সুস্থতার তুলনায় আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটাই বেশি৷ ফলে উদ্বেগ বাড়ছে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের৷

স্বাস্থ্য মন্ত্রকের মঙ্গলবারের তথ্য অনুযায়ী, একদিনে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪০,৭১৫ জন৷ তার ফলে দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১ কোটি ১৬ লক্ষ ৮৬ হাজার ৭৯৬ জন। আর গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ১৯৯ জনের৷ করোনায় দেশে মোট মৃতের সংখ্যা ১ লক্ষ ৬০ হাজার ১৬৬ জন৷ এই মুহূর্তে দেশে করোনা অ্যাক্টিভ কেস ৩,৪৫,৩৩৭টি৷

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen