Indigo Crisis: কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলছে পাইলটদের সংগঠন

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৩:৫০: ইন্ডিগোর অচলাবস্থা পঞ্চম দিনেও কাটেনি। শনিবারও দেশজুড়ে একাধিক ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। টানা চার দিন ধরে চলা এই কার্যত বিশৃঙ্খলার মধ্যে শুক্রবার একদিনেই বাতিল হয়েছিল হাজারের বেশি ফ্লাইট, বৃহস্পতিবারও বাতিল হয়েছিল ৫৫০টির বেশি। ফলে যাত্রীদের ভোগান্তি আরও গভীর হচ্ছে।
ইন্ডিগো-বিভ্রাটে লাগাম পরাতে শুক্রবার পাইলট এবং বিমানকর্মীদের জন্য নির্দিষ্ট শ্রমবিধি আংশিক শিথিল করেছে কেন্দ্র। কিন্তু কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে পাইলটদের একটি সংগঠন। এয়ারলাইন্স পাইলটস অ্যাসোসিয়েশন (আলপা) নামের ওই সংগঠন প্রশ্ন তুলেছে যে, কেন শুধুমাত্র ইন্ডিগোর সুবিধা করে দিতেই নিয়মবিধি শিথিল করা হল? এর ফলে লক্ষ লক্ষ যাত্রীদের ঝুঁকির মুখে ফেলা হচ্ছে বলে দাবি করেছে ওই সংগঠনটি। প্রসঙ্গত, এর আগে পাইলটদের এই সংগঠনটিই অভিযোগ করেছিল যে, বিধি শিথিল করতে কেন্দ্রকে বাধ্য করার কৌশল নিয়েছিল ইন্ডিগো। সেই কারণেই বিমান পরিষেবা ব্যাহত হলেও ইন্ডিগো কোনও কার্যকর পদক্ষেপ করেনি বলে দাবি করে তারা।
ইন্ডিগোর বিমান পরিষেবা ব্যাহত হওয়ার নেপথ্যে রয়েছে কেন্দ্রের একটি বিধি। ‘ফ্লাইট ডিউটি টাইম লিমিটেশনস’ নামের ওই বিধিতে বলা হয়েছিল, প্রতি সপ্তাহে পাইলট এবং বিমানকর্মীদের বিশ্রামের জন্য ৪৮ ঘণ্টা সময় দিতে হবে। প্রতি সপ্তাহে মাত্র ২টি বিমান রাতে অবতরণ করাতে পারবেন এক জন পাইলট (আগে সংখ্যাটা ছিল ৬)। তা ছাড়া ওই বিধিতে বলা হয়, পাইলট এবং বিমানকর্মীদের পর পর দু’দিন নাইট ডিউটি দেওয়া যাবে সপ্তাহে এক বারই। ২০২৪ সালের জুনেই এই বিধি কার্যকর করার কথা ছিল। কিন্তু বিমানসংস্থাগুলির অনুরোধে তা বার বার পিছিয়ে যায়। সম্প্রতি নতুন বিধি কার্যকর করার জন্য ডিজিসিএ-কে নির্দেশ দেয় দিল্লি হাই কোর্ট। জুন এবং নভেম্বরে দুই দফায় ধাপে ধাপে নির্দেশিকায় থাকা নিয়মাবলি কার্যকর করার পথে হাঁটে ডিজিসিএ। নয়া বিধি কার্যকর হতেই কর্মীসঙ্কটে পরিষেবা বিঘ্নিত হয় ইন্ডিগোর। অভিযোগ, অন্য বিমানসংস্থাগুলি এই বিধির কথা মাথায় রেখে কর্মী এবং পাইলট নিয়োগ করলেও, ইন্ডিগো তেমন কিছু করেনি। অন্য সংস্থা থেকে কর্মী নিয়োগের দরজাও বন্ধ করে দিয়েছিল তারা। দিল্লি হাই কোর্টের নির্দেশের পরেও কেন বিধি শিথিল করা হল, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে পাইলটদের ওই সংগঠন।