ডিমের ঘাটতি মেটাতে উন্নততর পরিকাঠামো গড়ার উদ্যোগ রাজ্য সরকারের

এবার তিন বছরের মধ্যে রাজ্যে ডিমের ঘাটতি মেটাতে ৩০০ কোটি টাকারও বেশি খরচ করে পোলট্রি-সহ অন্যান্য পরিকাঠামো গড়বে তাঁর সরকার।

September 16, 2021 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

রাজ্যে যে পরিমাণ ডিম উত্‍পাদিত হয়, তা দিয়ে প্রতিদিনের ডিমের (Eggs) চাহিদা মেটে না। তাই আগেই পানাগড়ের সরকারি কর্মসূচী থেকে আরও বেশি বেশি করে পোলট্রি করার পরামর্শ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার তিন বছরের মধ্যে রাজ্যে ডিমের ঘাটতি মেটাতে ৩০০ কোটি টাকারও বেশি খরচ করে পোলট্রি-সহ অন্যান্য পরিকাঠামো গড়বে তাঁর সরকার। ডিমের পাশাপাশি দুধের ক্ষেত্রে নিজস্ব ‘বাংলা ডেয়ারি’ ব্র‌্যান্ড গড়ে তোলা হচ্ছে।

বুধবার নবান্নে শিল্প বিষয়ক বৈঠকের পর মুখ্যসচিব এইচ কে দ্বিবেদী জানান, ‘মুখ্যমন্ত্রী ডিম উৎপাদনের ক্ষেত্রেও আত্মনির্ভর হওয়ার নির্দেশ দিচ্ছেন। সেই অনুযায়ী পরিকল্পনা করা হয়েছে। এতদিন পর্যন্ত বাংলার নিজস্ব দুধের ব্র‌্যান্ড ছিল না। এবার এর সঙ্গে জড়িত চাষিদের উৎসাহ দিতে বাংলা ডেয়ারি করা হচ্ছে।’ তিনি এ-ও জানিয়েছেন, বাংলা দুধের ক্ষেত্রে স্বনির্ভর। কিন্তু তার নিজস্ব ব্র‌্যান্ড এতদিন ছিল না। এবার তাও পূরণ হচ্ছে। বাংলার নিজস্ব ব্র‌্যান্ড ‘বাংলা ডেয়ারি’ তৈরি করা হচ্ছে। রাজ্যে ৪০০টি ব্লকে একটি করে ‘বাংলা ডেয়ারি’র স্টল থাকবে। সেখান থেকে সাধারণ মানুষ দুধ, ডিম, মাংস-সহ অন্যান্য জিনিসপত্র কিনতে পারবেন।

প্রসঙ্গত, রাজ্যে প্রতি বছর প্রায় ১৪৫০ কোটি ডিম লাগে। রাজ্যের বিভিন্ন পোলট্রি ও বাড়িতে ছোট ছোট চাষিদের থেকে মেলে প্রায় ১০৫০ কোটি ডিম। এই ঘাটতি অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে ডিম এনে সেই চাহিদা মেটানো হয়। আগামী তিন বছরের মধ্যেই সেই অবস্থা আর থাকবে না বলে জানান মুখ্যসচিব। জানা গিয়েছে, প্রায় ৩৯০ কোটি ডিমের ঘাটতি পূরণ করবে রাজ্যের পোলট্রি ফার্মগুলিই। এর জন্য পোলট্রি ফার্ম, লেয়ার ফার্ম, বায়ো কম্পোস্ট ফার্ম-সহ অন্যান্য পরিকাঠামো গড়বে রাজ্য সরকার। তার জন্য ২০২১ থেকে শুরু করে ২০২৩ সালের মধ্যে রাজ্য সরকার খরচ করবে প্রায় ৩৪২ কোটি টাকা।

শুধু তাই নয়৷ এর পাশাপাশি প্রাণীজ সম্পদ সংরক্ষণ সংক্রান্ত ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশনের মাধ্যমে বেসরকারি ক্ষেত্রেও উৎসাহ দেওয়া হবে পোলট্রি তৈরিতে এগিয়ে আসার জন্য। এছাড়াও ‘ব্যাক ইয়ার্ড পোলট্রি’ বা বাড়িতে ছোট ছোট করে পোলট্রি তৈরি করেন যাঁরা, তাঁদের স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মাধ্যমে উৎসাহ ও প্রয়োজনীয় সাহায্য দিয়ে উৎপাদন বাড়াতে চায় রাজ্য।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen