রূপাকে কি এড়িয়েই যাচ্ছে রাজ্য বিজেপি? 

রাজ্যসভার মনোনীত সাংসদ এবং বিজেপি নেত্রী রূপা গাঙ্গুলিকে তার দল, ভারতীয় জনতা পার্টির মধ্যেই নিয়মিতভাবে সাইডলাইন করে রাখা হচ্ছে। ২০১৬ সালে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের আগে তিনি বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন এবং হাওড়া উত্তর কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

June 6, 2020 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

রাজ্যসভার মনোনীত সাংসদ এবং বিজেপি নেত্রী রূপা গাঙ্গুলিকে তার দল, ভারতীয় জনতা পার্টির মধ্যেই নিয়মিতভাবে সাইডলাইন করে রাখা হচ্ছে। ২০১৬ সালে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের আগে তিনি বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন এবং হাওড়া উত্তর কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তৃণমূল কংগ্রেসের লক্ষ্মী রতন শুক্লার কাছে হেরে যান তিনি। 

২০১৬ সালের অক্টোবর মাসে তিনি রাজ্যসভায় মনোনীত হন। ২০১৭ সালে, তাঁকে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিজেপি মহিলা মোর্চার সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে লকেট চ্যাটার্জীকে আনা হয়। বর্তমানে লকেট হুগলির সাংসদ। এরপর থেকেই বিজেপিতে ক্রমশ কোনঠাসা হয়ে পড়েন ‘দ্রৌপদী’। ঘটনা প্রবাহ এমন বাঁক নেয় যে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে রূপা বিতর্কিত টুইট করে বলেন যে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ তাঁর আহ্বানে সাড়া দিচ্ছেন না।  

বিজেপি নেত্রী রূপা গাঙ্গুলি

পিআরএস লেজিস্লেটিভ নামক একটি সংস্থার তথ্য অনুসারে, সংসদে রূপার উপস্থিতি আগের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। ২০১৯ সালের বাজেট অধিবেশনের আগে প্রতিটি অধিবেশনে তার গড় উপস্থিতি ৯০% এরও বেশি হবে। তবে ২০১৯ সালের বাজেট অধিবেশনে, তাঁর উপস্থিতি ৬০% তে নেমে গেছে। ২০১৯ সালের শীতকালীন অধিবেশনেও তার উপস্থিতি ছিল একই রকম।

এমনকি গুরুত্বপূর্ণ বিল নিয়েও আজকাল বক্তব্য রাখতে দেখা যায় না রূপাকে। সর্বশেষ যে তাৎপর্যপূর্ণ বক্তব্যটি রেখেছিলেন তিনি, সেটি ছিল তিন তালাক বিল নিয়ে। তাও ২০১৯-এর জুলাই মাসে। অন্যদিকে বিভিন্ন ইস্যুতে লোকসভায় ক্ষুরধার বক্তৃতার জন্য লকেট দলের প্রশংসাও পেয়েছেন। 

তাহলে কি গেরুয়া শিবিরে রূপার অস্তিত্ব সংকটে? লকেট-দেবশ্রীদের দাপটে অস্তমিত হতে চলেছেন দাপুটে অভিনেত্রী-সাংসদ?

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen