নজরুল মঞ্চে প্রকাশিত হল ‘জাগো বাংলা’ উৎসব সংখ্যা ও মুখ্যমন্ত্রীর কথা ও সুরে গানের অ্যালবাম

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৭:৪৩: প্রতি বছর নিয়ম মেনে মহালয়ার দিনই প্রকাশিত হয় ‘জাগো বাংলা’ উৎসব সংখ্যা। এবারও তার ব্যতিক্রম হল না। রবিবারই প্রকাশিত হল তৃণমূলের দলীয় মুখপত্রের উৎসব সংখ্যা। নজরুল মঞ্চে পত্রিকার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গান গাইলেন। মঞ্চে মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেনের সঙ্গে তিনি গাইলেন আগমনি গান–‘জাগো দুর্গা’। পাশাপাশি এদিন প্রকাশিত হয় মুখ্যমন্ত্রীর কথা ও সুরে গানের অ্যালবাম, ‘দুর্গা অঙ্গন’।
এদিন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) বলেন, ‘‘যাঁরা এতদিন বলত, বাংলায় দুর্গাপুজো হয় না, ইউনেস্কো তাঁদের জবাব দিয়ে দিয়েছে বাংলার দুর্গাপুজোকে ইনট্যানজিবেল কালচারাল হেরিটেজ তকমা দিয়ে। এটা যেন আমরা না ভুলি।” বাংলার উৎসব ও বাংলার গরিমা দুর্গোৎসবের আয়োজনে রাজ্য সরকারের ভূমিকা তুলে ধরে অভিষেক জানান, ‘‘২০১১ সালে তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে যেভাবে বাঙালির জীবনের সর্ববৃবৎ উৎসবের প্রসার ঘটিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তার জন্য তাঁকে ধন্যবাদ। এখন মহালয়া খেকে পুজো প্যান্ডেলে যায় মানুষ, দুর্গোৎসবের আনন্দ উপভোগ করে। রাজ্য সরকার অর্থনৈতিক প্রতিকূলতার মধ্যেও বাংলার প্রায় প্রতিটি ক্লাবকে ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা সহযোগিতা করেছেন তিনি। বাঙালির উৎসবের প্রসার ঘটিয়েছেন।”
সাড়ে চার বছর ধরে দৈনিক হিসাবে দলীয় মুখপত্র প্রকাশের সাফল্যের তথ্য তুলে ধরেন অভিষেক। নজরুল মঞ্চে এদিন রাজ্যের মন্ত্রীরা, দলের নেতৃত্ব, কর্মীদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন তারকা শিল্পীরা। মুখ্যমন্ত্রীর কথা ও সুরে গানের অ্যালবাম থেকে সঙ্গীত পরিবেশন করেন শিল্পীরা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বলেন, ‘‘এবছর ক্লাবগুলোকে ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকাই নয়, বিদ্যুতের ৮০ শতাংশ মকুব করা হয়েছে। তাছাড়াও কলকাতা পুরসভার বিজ্ঞাপন খরচ, দমকল সবটাই নিখরচা করে দেওয়া হয়েছে। সবার পুজো ভাল কাটুক।” মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘শিল্পীরা অপেক্ষা করছেন। আজ বক্তৃতা দেওয়ার জায়গা কম। ‘জাগোবাংলা’র উৎসব সংখ্যা প্রকাশে যে শিল্পীরা, যন্ত্রশিল্পীরা উপস্থিত রয়েছেন, তাঁরা বাংলার গর্ব। যাঁরা অ্যালবামে গান গেয়েছেন, এখানেও সশরীরে গান গাওয়ার জন্য উপস্থিত রয়েছেন।” অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিঙ্গুরের কৃষক পরিবারের সদস্যরা। তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘সিঙ্গুরের পরিবার যাঁরা এসেছেন তাঁদের অভিনন্দন জানাচ্ছি। তিনি প্রার্থনা করেন, সবার ভালো পুজো কাটুক, শুভ শারদীয়া।”