সিসি ক্যামেরায় না! আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকদের দ্বিচারিতা?

পাঁচ দফা দাবি নিয়ে আন্দোলনে বসেছেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা।

September 16, 2024 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: পাঁচ দফা দাবি নিয়ে আন্দোলনে বসেছেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা। ৪ নম্বর দাবিতে নিজেদের নিরাপত্তার স্বার্থে হাসপাতালে পর্যাপ্ত সিসি ক্যামেরা বসানোর কথা উল্লেখ করেছেন তাঁরা। কিন্তু তাঁরাই সিসি ক্যামেরা লাগাতে দিচ্ছেন না! এ কেমন দ্বিচারিতা? প্রশ্ন উঠছেই।

আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকদের উপর হামলার পরিকল্পনায় এক সিপিএম যুবনেতা-সহ দু’জন গ্রেপ্তার হয়েছে। স্বাস্থ্যভবনের সামনের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। রাস্তার উপর বসে জুনিয়র চিকিৎসকরা আন্দোলন করছেন, নিরাপত্তার স্বার্থে পুলিশের পক্ষ থেকে সেখানে সিসি ক্যামেরা বসানোর পরিকল্পনা করা হয়েছিল। সেখানে পুলিশকে সিসি ক্যামেরা লাগাতেই দিলেন না আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকরা। রাস্তায় বসে আন্দোলন করলেও তাঁরা পুলিশকে ‘ফতোয়া’ দিয়েছেন, এন্ট্রি এবং এক্সিট ব্যারিকেড পর্যন্ত সিসি ক্যামেরা লাগান। অবস্থান যেখানে চলছে, সেখানে লাগাতে পারবেন না!

হাসপাতালে নিরাপত্তা চাইলেও, রাস্তায় কেন তাঁরা নিরাপত্তা চাইছেন না? প্রশ্ন উঠেছে। পুলিশ এক্সিট এবং এন্ট্রি পয়েন্ট পর্যন্তই সিসি ক্যামেরা লাগিয়েছে। ১০ সেপ্টেম্বর থেকে সল্টলেক সেক্টর ফাইভে স্বাস্থ্যভবনের সামনে জুনিয়র ডাক্তারদের বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। রাস্তায় প্যান্ডেল দিয়ে আচ্ছাদনও করা হয়েছে। জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে মিশে আছেন একদল ‘অতিবামপন্থী’। ধর্ষক ও খুনিদের ফাঁসির বদলে তাঁরা ‘রানির রাজ্য’, ‘বিনীত গোয়েল’, ‘চটি চাটা’ স্লোগানে গলা ফাটাচ্ছেন। দেশের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নামে কুৎসা করছেন। যে পুলিশ কর্মীরা তাঁদের পাহারা দিচ্ছেন, তাঁদের কন্যাসন্তানকে নিয়েও লাগাতার কটাক্ষ করা হচ্ছে। পুলিশ কর্মীদের মেয়েকে কেন টার্গেট করা হচ্ছে, তা নিয়ে নিন্দায় সরব হয়েছেন অনেকেই।

গত শুক্রবার একটি অডিও পায় পুলিশ। তাতে আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকদের উপর হামলার কথা বলা হয়। ওই ঘটনায় ডিওয়াইএফ নেতা-সহ দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ওইদিন বিকেলেই অবস্থানস্থলে পুলিশ বাহিনী বাড়ানো হয়। নিরাপত্তার স্বার্থে প্রচুর সিসি ক্যামেরা বসানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়। কিন্তু আন্দোলনরত চিকিৎসকরাই ‘প্রাইভেসি’র দোহাই দিয়ে সিসি ক্যামেরা লাগাতে বাধা দেন। অনেকেই বলছেন, ক্যামেরা নিয়ে আপত্তি কেন? এটা তো সরকারি রাস্তা! যাদবপুরের বিশ্ববিদ্যালয় বা মেডিক্যাল কলেজগুলির হস্টেলের মতোই ‘আপত্তি’। ক্রমেই সন্দেহের উদয় হচ্ছে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen