দিল্লির অক্ষরধাম মন্দিরের আদলে তৈরি হচ্ছে সুবিশাল কালী মন্দির, কোথায় জানেন?
কলেরা, বসন্ত রোগের মহামারি ঠেকাতে রামকান্তের চিকিৎসক পুত্র কৈলাস মিশ্র রোগ সারানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু তাতে তিনি সফল হননি।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: মহিষাদলের বেতকুন্ডু গ্রাম পঞ্চায়েতের জগৎপুর সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির গ্রাম হিসেবে বহুদিন থেকেই পরিচিত। কালীপুজোয় সব ধর্মের মানুষের মিলনভূমি হয়ে ওঠে জগৎপুর। প্রতি বছর বৈশাখ মাসে কালীপুজোয় কাতারে-কাতারে ভক্তের সমাগম হয় এই পুজোয়। কথিত আছে, জমিদার রামকান্ত মিশ্র জগৎপুরে থাকতেন। কলেরা, বসন্ত রোগের মহামারি ঠেকাতে রামকান্তের চিকিৎসক পুত্র কৈলাস মিশ্র রোগ সারানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু তাতে তিনি সফল হননি। পরে এলাকার শ্মশানের পাশে অস্থায়ী মন্দির তৈরি করে কালীপুজো শুরু হয়।
বর্তমানে কংক্রিটের সুবিশাল মন্দির তৈরি হচ্ছে অক্ষরধাম মন্দিরের আদলে। যা ‘মিনি অক্ষরধাম’ নামে ইতিমধ্যে পরিচিত হয়ে উঠেছে। গ্রাম কমিটির সম্পাদক কমলকান্ত অধিকারী বলেন, “প্রায় ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে মন্দিরটি নির্মাণ করা হচ্ছে। কালীমূর্তির পাশাপাশি শিব ও দেবী শীতলার মুর্তিও পুজো হবে। একসময় সাবিত্রী চতুদর্শীতে পুজো হতো। বর্তমানে নৃসিংহ চতুদর্শীতে পুজো হয়। এতদিন তিন দিনের পুজো হতো, এবছর নতুন মন্দির উদ্বোধন উপলক্ষে এক সপ্তাহ ধরে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। আগামী ২৭ বৈশাখ নৃসিংহ চতুর্দশীতে মন্দিরের উদ্বোধন হবে।” শিল্পী মোহনলাল মান্না এবং ভাস্কর শান্তনু মণ্ডলের যৌথ প্রয়াসে মন্দির ভাস্কর্য্য ফুটে উঠছে। ৮০ ফুট উচ্চতার মন্দিরের দেওয়ালে ৫১ সতীপীঠের দেবী মূর্তিগুলি ফুটিয়ে তুলেছেন শিল্পীরা।