ইতিহাস গড়লেন কিং খান, নিউ ইয়র্ক টাইমসের ‘মোস্ট স্টাইলিশ’ তালিকায় শাহরুখ
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ২১:০০: ২০২৫ সালটি আক্ষরিক অর্থেই শাহরুখ খানের (Shahrukh Khan)। এবারের সাফল্য শুধুমাত্র বক্স অফিসের অঙ্কে সীমাবদ্ধ নয়, বরং বিশ্বমঞ্চে ভারতীয় হিসেবে এক নতুন ইতিহাস রচনা করলেন কিং খান। প্রথম ভারতীয় হিসেবে মর্যাদাপূর্ণ ‘দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস’-এর (The New York Times) ‘মোস্ট স্টাইলিশ’ তালিকায় জায়গা করে নিলেন বলিউড সুপারস্টার।
চলতি বছরে ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনে একাধিক মাইলস্টোন ছুঁয়েছেন শাহরুখ। তিন দশকের দীর্ঘ ফিল্মি কেরিয়ারে এই প্রথমবার তাঁর ঝুলিতে এসেছে জাতীয় পুরস্কার। পাশাপাশি, ১০ হাজার কোটির ক্লাবে প্রবেশ করে বিশ্বের তাবড় ধনকুবেরদের তালিকায় নিজের নাম লিখিয়েছেন। পুত্র আরিয়ান খানের পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশও ঘটেছে এই বছরেই। আর এবার বছরের শেষে নিউ ইয়র্ক টাইমসের সেরা ১০০ ফ্যাশনিস্তার তালিকায় স্থান পেয়ে মুকুটে যুক্ত হলো নতুন পালক।
এই বিরল অর্জনের নেপথ্যে রয়েছে চলতি বছরের মে মাসে নিউ ইয়র্কের মেট্রোপলিটন মিউজিয়াম অফ আর্ট গ্যালারিতে আয়োজিত ‘মেট গালা’ (Met Gala)। বিশ্বমানের এই ফ্যাশন ইভেন্টে খ্যাতনামা বাঙালি ডিজাইনার সব্যসাচী মুখোপাধ্যায়ের পোশাকে রেড কার্পেটে হেঁটেছিলেন শাহরুখ। ভারতীয় ঐতিহ্যের সঙ্গে পাশ্চাত্য আভিজাত্যের মিশেলে তৈরি সব্যসাচীর ‘বন্ধ গলা’ পোশাকে কিং খানের উপস্থিতি ছিল নজরকাড়া, যা সেই সময় পশ্চিমী দুনিয়ারও বিশেষ প্রশংসা কুড়িয়েছিল। সেই আইকনিক লুকের সৌজন্যেই এবার নিউ ইয়র্ক টাইমসের স্টাইল ক্যালেন্ডারে ঠাঁই পেলেন তিনি।
মেট গালার ইতিহাসে প্রথমবার অংশগ্রহণ করেই এমন স্বীকৃতি পাওয়া যে কোনও তারকার জন্যই বিরল ঘটনা। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, মেট গালার মঞ্চে দাঁড়িয়ে ফ্যাশনের চেয়েও দেশের প্রতিনিধিত্ব করার বিষয়টিকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছিলেন শাহরুখ। তিনি বলেছিলেন, “আমার দেশের মানুষদের প্রতিনিধিত্ব করা ভীষণ জরুরি। ভারত এখন সর্বক্ষেত্রে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে দিচ্ছে এবং আমাদের উপস্থিতির গুরুত্বটাও বিশ্বকে বুঝিয়ে দেওয়া দরকার।” তাঁর সেই কথার রেশ ধরেই এবার নিউ ইয়র্ক টাইমসের পাতায় ভারতের নাম উজ্জ্বল করলেন তিনি।
এবারের মেট গালার থিম ছিল কৃষ্ণাঙ্গ ডিজাইনারদের সম্মান জানিয়ে ‘সুপারফাইন: টেইলারিং ব্ল্যাক স্টাইল’। শাহরুখ এই উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করে জানিয়েছিলেন, অসহিষ্ণুতার পথে না হেঁটেও যে শৈল্পিক সত্ত্বায় প্রতিবাদ করা যায়, এই থিম তারই উদাহরণ। অভিনয়ের জাদুতে বিশ্বজয়ের পর এবার নিজের রুচিশীল যাপনশৈলী ও ফ্যাশন সেন্স দিয়েও যে তিনি বিশ্বমঞ্চে অনন্য, নিউ ইয়র্ক টাইমসের এই স্বীকৃতি তারই প্রমাণ।