অভুক্ত ঘোড়াদের খাবার পৌঁছে দিল কলকাতা পুলিশ

খাদ্যের বড়ই অভাব শহরে। লকডাউনে খাদ্যের যোগান দেওয়া খুবই কষ্টসাধ্য। শহরের বিভিন্ন মানুষের খাদ্যের সন্ধান হলেও অভুক্ত ছিল ময়দান ও ভিক্টোরিয়া সংলগ্ন ঘোরাগুলো। তাদের মালিকদের আরও করুন অবস্থা। লকডাউনের মধ্যে বেশ অনেকটাই বিপদেই পড়েছিলেন শহরের সহিস ও ঘোড়ার মালিকরা। এঁদের অধিকাংশেরই অর্থনৈতিক ভিত শক্তিশালী নয়। ময়দান ও ভিক্টোরিয়া চত্বরে যাদের দেখে অনেকেই আনন্দ পেত, তারাই এখন অভুক্ত।

April 7, 2020 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

খাদ্যের বড়ই অভাব শহরে। লকডাউনে খাদ্যের যোগান দেওয়া খুবই কষ্টসাধ্য। শহরের বিভিন্ন মানুষের খাদ্যের সন্ধান হলেও অভুক্ত ছিল ময়দান ও ভিক্টোরিয়া সংলগ্ন ঘোরাগুলো। তাদের মালিকদের আরও করুন অবস্থা। লকডাউনের মধ্যে বেশ অনেকটাই বিপদেই পড়েছিলেন শহরের সহিস ও ঘোড়ার মালিকরা। এঁদের অধিকাংশেরই অর্থনৈতিক ভিত শক্তিশালী নয়। ময়দান ও ভিক্টোরিয়া চত্বরে যাদের দেখে অনেকেই আনন্দ পেত, তারাই এখন অভুক্ত।

লকডাউনের জন্য পর্যটকদের দেখা তো দূরে থাক, ঘোড়াদের খাদ্য সামগ্রীর যোগান দেওয়া বর্তমানে খুবই কষ্টসাধ্য। এবার তাদের পাশে দাঁড়াল কলকাতা পুলিশ। ময়দান ও ভিক্টোরিয়া-সংলগ্ন এলাকায় ঘোড়ার পিঠে পর্যটকদের চাপিয়েই রোজগার। এখন সেই রোজগারও বন্ধ। ফলে ঘোড়ার খাবার জোগাড় করাই অসম্ভব হয়ে উঠেছিল। বার্লি, গমের খোসা ও আরও নানারকমের খাদ্যশস্য মিশিয়ে তৈরি হয় ঘোড়ার খাবার।

অবলা প্রাণীগুলির অনাহারে অসুস্থ হয়ে পড়ার আশঙ্কাও ঘনীভূত হচ্ছিল রোজই। এই অবস্থায় রয়্যাল ক্যালকাটা টার্ফ ক্লাবের সঙ্গে সমন্বয়ে ময়দান এবং হেস্টিংস মাজার এলাকায় ৪১ জন দরিদ্র ঘোড়ার মালিককে প্রায় ১৫০টি ঘোড়ার জন্য প্রয়োজনীয় খাবার পৌঁছে দিল কলকাতা মাউন্টেড পুলিশের টিম।

এর পাশাপাশি খাবার পৌঁছে দেওয়া হয়েছে শহরের রাস্তায় এদিক-সেদিক ঘুরে বেড়ানো আরও বেশ কয়েকটি ঘোড়ার কাছেও। এই খবর কলকাতা পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা নিজেই টুইট করে জানিয়েছেন। কলকাতা পুলিশের ফেসবুক পেজেও জানানো হয়েছে পুলিশের তরফে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen