লালবাথানির বাসন্তী পুজো সাড়ে তিনশ বছরের পুরনো, নিশুতি রাতে এখনও শোনা যায় নুপূরের আওয়াজ
প্রতি বছর অসংখ্য ধর্মপ্রাণ মানুষ এই পুজোয় এসে মনস্কামনা করেন এবং পরে পুজোও দেন। বলির জন্য ছাগ-ও উৎসর্গ করা হয়। মূলত নবমীর দিন জাঁকজমক করে পুজো হয়।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: মানিকচকের নুরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের লালবাথানি গ্রামে সাড়ে তিনশ বছরের বেশি সময় ধরে ধুমধাম করে বাসন্তী পুজো হয়ে আসছে। জানা গিয়েছে, কোনও এক জমিদারের আমলে এই পুজো শুরু হয়েছিল। এরপরে প্রায় ১০০ বছর ধরে স্থানীয় গ্রামবাসীরাই লালবাথানি সর্বজনীন বাসন্তী দুর্গোৎসব কমিটি করে এই পুজোর আয়োজন করছেন। কথিত আছে, এই মায়ের কাছে পুজো দিয়ে যে ভক্তরা মনস্কামনা করেন তা পূরণ হয়। আর সেই বিশ্বাসে প্রতি বছর অসংখ্য ধর্মপ্রাণ মানুষ এই পুজোয় এসে মনস্কামনা করেন এবং পরে পুজোও দেন। বলির জন্য ছাগ-ও উৎসর্গ করা হয়। মূলত নবমীর দিন জাঁকজমক করে পুজো হয়।
গ্রামের এক প্রবীণ বাসিন্দার কথায়, ‘প্রজাদের অনুরোধে মিলকির কোনও এক জমিদার এই পুজোর সূচনা করেন। যদিও এখন এটি সর্বজনীন।’ পুজো কমিটির সদস্যরা জানান, ‘জাগ্রত দেবী বলে দুর-দূরান্ত থেকে ভক্তরা আসেন। সমস্ত ধর্মের মানুষই তিন দিন ধরে এই পুজোয় সামিল হন। বর্তমানে মা এর জন্য নতুন মন্দির তৈরি হচ্ছে।’
এই পুজো ঘিরে আজও রয়েছে নানা জনশ্রুতি। সন্ধ্যের পর মন্দিরের পথে চলতে গেলে শোনা যায় না কি নুপূরের আওয়াজ! নিশুতি রাতে অনেকেই নাকি দেখতে পান প্রদীপের আলো।