কলকাতার বিভিন্ন স্থান থেকে জবরদখলকারীদের হটিয়ে দিচ্ছে লালবাজার

নর্থ ও নর্থ ডিভিশনের ডিসি অভিষেক গুপ্তার নির্দেশে মঙ্গলবার দুপুরেই হাতিবাগানে অভিযান চালান শ্যামপুকুর থানার আধিকারিকরা।

June 26, 2024 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হুঁশিয়ারির পর সোমবার সন্ধ্যাতেই ভার্চুয়াল বৈঠকে কলকাতা পুলিসের দশ ডিভিশনের ডিসিদের নিজেদের এলাকা দখলমুক্ত করার নির্দেশ দেন কমিশনার বিনীত গোয়েল। তারপর ওই দিন সন্ধ্যাতেই হাতিবাগানের দু’পাড়ের ফুটপাত দখলমুক্ত করার নির্দেশ দেয় শ্যামপুকুর থানা। সময় দেওয়া হয় ২৪ ঘণ্টা। কিন্তু তার আগেই অ্যাকশন শুরু।

নর্থ ও নর্থ ডিভিশনের ডিসি অভিষেক গুপ্তার নির্দেশে মঙ্গলবার দুপুরেই হাতিবাগানে অভিযান চালান শ্যামপুকুর থানার আধিকারিকরা। পুলিস সূত্রে খবর, ১৯৯৭ সাল থেকে হাতিবাগানে হকাররা বসছে। ফুটপাত ও রাস্তা দখলমুক্ত করতে মাঝেমধ্যেই অভিযান চালানো হয়। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর একেবারে কড়া ভাষায় ব্যবসায়ীদের নির্দেশ দিয়েছে পুলিস। স্টলের বর্ধিত অংশ, অস্থায়ী ছাউনিও খোলানো হয়। ডিভিশন সূত্রে খবর, হাতিবাগান চত্বর থেকে প্রায় ২০০টি স্পট দখলমুক্ত করা হয়েছে। আজ বাগবাজার মোড় থেকে বাগবাজার ঘাট পর্যন্ত অভিযানে নামছে পুলিস। সেখানে রাস্তা দখল করে থাকা প্রত্যেককে হটিয়ে দেওয়া হবে বলে সূত্রের খবর।

অন্যদিকে, সোমবার সন্ধ্যায় পার্ক স্ট্রিট ও মঙ্গলবার বিকেলে নিউ মার্কেট চত্বরকে দখল-রোগ মুক্ত করতে নামে পার্ক স্ট্রিট ও নিউ মার্কেট থানার পুলিস। মোট ১৫০টিরও বেশি স্পট দখলমুক্ত করা হয়েছে বলে খবর। নিউ মার্কেটে রক্সি বিল্ডিংয়ের পাশে ও হগ মার্কেটের সামনে থাকা হকারদের দোকানের বর্ধিত অংশ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে খুলে ফেলতে বলা হয়েছে। পুলিস বলেছে, নির্দেশ অমান্য করলে দোকান ভেঙে দেওয়া হবে। এর পাশাপাশি এদিন দুপুরে গড়িয়াহাট থানা অধিকাংশ ফুটপাত দখলমুক্ত করে। আজ, বুধবার ফের জবরদখল সরানোর জন্য হচ্ছে বিশেষ অভিযান।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen