মহেশতলায় ‘ষড়যন্ত্রের ছক’! অভিযোগ তৃণমূলের, বিস্ফোরক নিয়ে ধরা পড়ল RSS-BJP কর্মী
পুলিশের দাবি, রামনবমীর দিন তিনিই বাটা মোড় এলাকায় উপস্থিত ছিলেন, যেখানে মিছিলের পথ এবং ব্যারিকেড নিয়ে ঝামেলা হয়েছিল।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৯:২৯: মহেশতলার রবীন্দ্রনগরের সংঘর্ষের ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হল ৪০ জনকে। তার মধ্যে ১৮ জনকে ধরা হয়েছিল গতকালই। এদিকে এলাকাজুড়ে জারি রয়েছে ১৬৩ ধারা। বুধবারের সহিংসতার পরে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই রবীন্দ্রনগর থানা এলাকায় বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এদিকে সেই এলাকায় প্রায় সব দোকানপাট বন্ধ আজ। জানা গিয়েছে, গতকালই কলকাতা পুলিশ ১২ জনকে গ্রেপ্তার করেছিল হিংসা ছড়ানোর অভিযোগে। এদিকে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ গ্রেপ্তার করেছিল ৪ জনকে। পরে আরও ২৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে রাজ্য পুলিশ। আজ পুলিশের তরফে এলাকায় জমায়েত করতে নিষেধ করা হচ্ছে। এলাকায় এখনও আতঙ্কের পরিবেশ রয়েছে। ভুয়ো খবর না ছড়ানোর আবেদন জানানো হয়েছে। পুলিশের বার্তা, ‘শান্তি বজায় রাখার দায়িত্ব সকলের। কেউ শান্তিভঙ্গের চেষ্টা করলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।’
বুধবার রাত ৮টা নাগাদ বজবজ থানা অন্তর্গত এলাকা থেকে পুলিশ বিপুল পরিমাণে বিস্ফোরক (Explosive Metarials) গুঁড়ো উদ্ধার করে। এই ঘটনায় মোট ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, নবীন চন্দ্র রায় নামের এক যুবক রয়েছেন ধৃতদের মধ্যে। জেরার সময় ব্যক্তি স্বীকার করেছেন যে তিনি আরএসএস এবং বিজেপির সক্রিয় (BJP Worker) কর্মী। পুলিশের দাবি, রামনবমীর দিন তিনিই বাটা মোড় এলাকায় উপস্থিত ছিলেন, যেখানে মিছিলের পথ এবং ব্যারিকেড নিয়ে ঝামেলা হয়েছিল। ভিডিও ফুটেজে তাঁকে পুলিশ ব্যারিকেড ছুড়তেও দেখা যায়।
এই খবর পাওয়া মাত্রই বিজেপিকে (BJP) বিঁধতে শুরু করেছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। তৃণমূল যুবনেতা দেবাংশুর (Debangshu Bhattacharya) বক্তব্য, মহেশতলায় বিস্ফোরকগুলি ব্যবহার করার ছক ছিল না বিজেপির, এটা বলা যায় না। যে সময়ে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছিল তার কয়েক ঘণ্টা পরই বজবজ থানা এলাকা থেকে বিজেপি-আরএসএস সক্রিয় সদস্য সহ ৫ জন গ্রেফতার হয়। অন্যদিকে, মহেশতলায় যাওয়ার জন্য উঠেপড়ে লেগেছেন শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদাররা। এতেই বোঝা যায় আরও উস্কানি দিয়ে পরিস্থিতি খারাপ করার ছক রয়েছে বিজেপির।
দলের অন্যতম মুখপাত্র অরূপ চক্রবর্তীর (Arup Chakraborty) কথায়, বিজেপি-আরএসএস কর্মী মহেশতলার অদূরেই বিস্ফোরক নিয়ে ধরা পড়েছেন। মুর্শিদাবাদে যেভাবে বিজেপি উস্কানি ছড়িয়ে পরিস্থিতি খারাপ করার চেষ্টা করেছিল, ঠিক একই ভাবে মহেশতলাতেও তেমনই ছক ছিল। একজন বিজেপি কর্মীর কাছে এত পরিমাণ বিস্ফোরক কোথা দিয়ে এল, তার জবাব বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দেবেন কিনা, সেই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপির এই ধরনের উস্কানি দেওয়া এবং ষড়যন্ত্র করা নতুন কিছু নয়। মুর্শিদাবাদ, সন্দেশখালি এর উদাহরণ রেখেছে।