শিশুর চিকিৎসায় সাহায্য মমতার, চুপ মোদী-ধনখড়

আট বছরের অদ্রিজা ঘোষের কঠিন অসুখ। লিউকোমিয়ার ঠিক আগের ধাপে রয়েছে শিশুটি। সুস্থ করে তুলতে জরুরি বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট। কলকাতা, ভেলোর, বেঙ্গালুরুর হাসপাতালে ঘুরে শেষ পর্যন্ত সব চেয়ে কম যে খরচের ফর্দ পরিবার পেয়েছে, তা সাড়ে ২৩ লক্ষ টাকার। এ দিকে লকডাউনের ঠিক আগেই কাজ হারিয়েছেন বেসরকারি হাসপাতালে কর্মরত বাবা অঞ্জন ঘোষ। অদ্রিজার দাদুর পেনশনে কোনও রকমে সংসার চলছে। ফলে করোনার এই কঠিন পরিস্থিতিতে বাচ্চাটির চিকিৎসায় বিপুল টাকা জোগাড়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে ঘোষ পরিবারকে। প্রধানমন্ত্রী, রাজ্যপাল, মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আর্থিক সহায়তার আবেদন করেছিলেন হুগলির চুঁচুড়ার পরিবারটি। নরেন্দ্র মোদীর দপ্তর টাকা দিতে পারবে না জানিয়েছে। রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় উচ্চবাচ্যই করেননি। তীব্র আর্থিক-সঙ্কটের সময়েও অবশ্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দপ্তর সাড়া দিয়েছে। মিলেছে আর্থিক সাহায্য।

June 2, 2020 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

আট বছরের অদ্রিজা ঘোষের কঠিন অসুখ। লিউকোমিয়ার ঠিক আগের ধাপে রয়েছে শিশুটি। সুস্থ করে তুলতে জরুরি বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট। কলকাতা, ভেলোর, বেঙ্গালুরুর হাসপাতালে ঘুরে শেষ পর্যন্ত সব চেয়ে কম যে খরচের ফর্দ পরিবার পেয়েছে, তা সাড়ে ২৩ লক্ষ টাকার। এ দিকে লকডাউনের ঠিক আগেই কাজ হারিয়েছেন বেসরকারি হাসপাতালে কর্মরত বাবা অঞ্জন ঘোষ। অদ্রিজার দাদুর পেনশনে কোনও রকমে সংসার চলছে। ফলে করোনার এই কঠিন পরিস্থিতিতে বাচ্চাটির চিকিৎসায় বিপুল টাকা জোগাড়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে ঘোষ পরিবারকে। প্রধানমন্ত্রী, রাজ্যপাল, মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আর্থিক সহায়তার আবেদন করেছিলেন হুগলির চুঁচুড়ার পরিবারটি। নরেন্দ্র মোদীর দপ্তর টাকা দিতে পারবে না জানিয়েছে। রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় উচ্চবাচ্যই করেননি। তীব্র আর্থিক-সঙ্কটের সময়েও অবশ্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দপ্তর সাড়া দিয়েছে। মিলেছে আর্থিক সাহায্য।

শিশুর চিকিৎসায় সাহায্য মমতার

অঞ্জনের কথায়, ‘গত এপ্রিলে আমরা প্রধানমন্ত্রী, রাজ্যপাল এবং মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানাই। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, কেস ক্লোজড। কিন্তু কেন, তা বলা হয়নি। রাজ্যপালের কাছ থেকে কোনও উত্তরই পাইনি।’ কিছু দিন আগে নবান্ন থেকে অবশ্য মুখ্যমন্ত্রীর তরফে এক লক্ষ টাকা সহায়তা করা হয়েছে। তবে প্রয়োজন আরও অনেক। এই অবস্থায় রাজ্যের মন্ত্রী, হুগলি জেলা থেকেই নির্বাচিত তপন দাশগুপ্তও কিছু আর্থিক সহায়তা করেছেন। আর উজাড় করে দিচ্ছেন আত্মীয়-বন্ধু, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এবং পাড়ার ক্লাব। অঞ্জনের বক্তব্য, ‘স্থানীয় সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের লেখা চিঠি-সহ প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেছিলাম। তা-ও হল না! দিল্লির সাহায্য না পেয়ে লকেটদির সঙ্গে দেখা করতে যাই। কিন্তু আমাকে তাঁর কাছ অবধি পৌঁছতেও দেওয়া হয়নি।’ এ ব্যাপারে লকেটের বক্তব্য, ‘কী সমস্যা হয়েছে, দেখে নিচ্ছি। তবে আমার অফিসের সঙ্গেই ওঁদের যোগাযোগ করতে হবে।’ হাতে অবশ্য আর বেশি দিন নেই। মেয়েকে নিয়ে এ মাসের ১২ তারিখ বেঙ্গালুরু রওনা দেবেন অঞ্জনরা। সামাজিক মাধ্যমেও সাহায্যের আবেদন করেছেন তীব্র উৎকণ্ঠায় থাকা অদ্রিজার বাবা। সেই আবেদনে সাড়া মিলছে। এগিয়ে এসেছেন শতাব্দী-প্রাচীন চুঁচুড়া টাউন ক্লাবের সদস্যরা। ক্লাবের তরফে সম্পাদক ও পেশায় বিসিসিআইয়ের আম্পায়ার ইন্দ্রনীল চক্রবর্তী জানান, এখনও পর্যন্ত ২ লক্ষ টাকার উপরে ক্লাবের সদস্যরা সহায়তা করেছেন। আরও মানুষ সাহায্য করতে চাইছেন। এই ক্লাব এলাকায় বেশ পরিচিত ও রাজ্য সরকারের অনুদানপ্রাপ্ত। ইন্দ্রনীল বলেন, ‘অনেক সময় রাজ্য সরকারের অনুদান নিয়ে কটাক্ষ শুনতে হয়। কিন্তু আমরা আমাদের কর্তব্যে অবিচল। বহু কাল ধরেই আমরা মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছি। দাঁড়াব।’

স্বস্তির কথা, ১৮ লক্ষ টাকার কাছাকাছি জোগাড় হয়েছে। বাকি টাকার আয়োজন করছেন সবাই মিলে। অসহায় বাবার কেবল আকুতি, ‘না পেলাম প্রধানমন্ত্রীর টাকা। উত্তর না হয় নাই দিলেন রাজ্যপাল। কিন্তু সবাই আমার এই ফুটফুটে মেয়েটার জন্য একটু অন্তত প্রার্থনা করুন।’

তথ্যসূত্র: এই সময়

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen