‘স্বাধীনতা ৭৫’ নিয়ে মোদীর ডাকা ভার্চুয়াল বৈঠকে বলার সুযোগই দেওয়া হল না মমতাকে

প্রথম বৈঠক হয়েছিল মার্চ মাসে। আর এদিন প্রধানমন্ত্রীর দু’ঘণ্টার ভার্চুয়াল বৈঠকে বলার সুযোগ দেওয়া হয়েছে ২০ জনকে। যাঁদের শুধুই বসিয়ে রাখা হয়েছিল, সেই তালিকায় সবার উপরে নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।

December 23, 2021 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

কেন্দ্রীয় সরকারের গালভরা নাম ‘স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসব’। তা পালনে রূপরেখা তৈরি করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ডাকছেন ভার্চুয়াল বৈঠকও। উদ্দেশ্য, বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং নেতানেত্রীদের ‘পরামর্শ’ নেওয়া। বুধবার অবশ্য সেই ‘কথা বলার সুযোগ’ সীমাবদ্ধ থাকল কেন্দ্রীয় সরকারের বাছাই করা ব্যক্তিদের মধ্যেই। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডাকা হল, বসিয়ে রাখা হল ঠায় দু’ঘণ্টা, কিন্তু বলার সুযোগই দেওয়া হল না। অথচ, ভোটমুখী উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ দেদার পরামর্শ দিলেন বৈঠকে। বিজেপি সভাপতির জগৎপ্রকাশ নাড্ডাও এখানে বক্তা। ভার্চুয়াল বৈঠকে বলতে শোনা গেল অশোক গেহলট, জগন্মোহন রেড্ডিকেও। এই দ্বিচারিতায় স্বভাবতই ক্ষুব্ধ ও অপমানিত মুখ্যমন্ত্রী। ঘনিষ্ঠ মহলে তিনি তাঁর সেই ক্ষোভের কথা জানিয়েছেন। ‘স্বাধীনতা ৭৫’ নিয়ে দেশজুড়ে যে কর্মসূচি এবং উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে, বুধবার বিকেলে ছিল সেই কমিটির দ্বিতীয় বৈঠক। সভাপতিত্ব করেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী। তিনিই কমিটির আহ্বায়ক। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের পাশাপাশি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী, প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা, বিভিন্ন শিল্পী, বুদ্ধিজীবীরা রয়েছেন কমিটিতে। প্রথম বৈঠক হয়েছিল মার্চ মাসে। আর এদিন প্রধানমন্ত্রীর দু’ঘণ্টার ভার্চুয়াল বৈঠকে বলার সুযোগ দেওয়া হয়েছে ২০ জনকে। যাঁদের শুধুই বসিয়ে রাখা হয়েছিল, সেই তালিকায় সবার উপরে নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।

অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জগন্মোহন রেড্ডি তাঁর সরকারের নানাবিধ উৎসব পালনের কর্মসূচির কথা জানান। বিস্তারিত প্রেজেন্টেশন দেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট, গুজরাত ও কেরলের রাজ্যপালও। তাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ব্রাত্য কেন? কেন্দ্রীয় সরকার সূত্রে অবশ্য সাফাই দেওয়া হচ্ছে, ১২ মার্চ সবরমতী আশ্রম থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এই কমিটির পথ চলা শুরু হয়েছিল। প্রথম বৈঠক ওই দিনই হয়েছে। আগামী দিনেও একঝাঁক বৈঠক হবে। প্রতিটি বৈঠকে বিভিন্ন মুখ্যমন্ত্রীদের থেকে পরিকল্পনা ও প্রস্তাব জানতে চাওয়া হচ্ছে। তাই প্রত্যেক রাজ্যেরই সুযোগ থাকছে। কাজেই বঞ্চনার কোনও প্রশ্ন নেই।

এই কমিটিই কিন্তু আগে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, নেতাজিকে নিয়ে দেশজুড়ে হবে নানাবিধ কর্মসূচি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই বৈঠকে স্বাধীনতার ৭৫তম বর্ষই নয়, আগামী ২০৪৭ সালে স্বাধীনতার শতবর্ষ নিয়েও বক্তব্য পেশ করেছেন। তাঁর দাবি, এখন থেকেই ভারতকে পরিকল্পনা করতে হবে। শপথ নিতে হবে, শতবর্ষের আগেই ভারত যেন জগৎসভায় শ্রেষ্ঠ আসন লাভ করে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen