মাস্ক না ফেস শিল্ড – কোনটা বেশি নিরাপদ?

বাড়তি সতর্কতা হিসেবে অনেকেই মাস্কের উপর স্বচ্ছ্ব প্লাস্টিকের মুখাবরণ বা ফেস শিল্ড পরছেন। এই সময়, বাড়ি থেকে বেরোলে শুধু মাস্ক পরলেই কি হবে? না কি পরতে হবে ফেস শিল্ডও?

June 7, 2020 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

কোভিডের গ্রাফ ক্রমেই উর্ধমুখী। এর মধ্যেই যেতে হচ্ছে অফিস। বাসে-ট্রামে-রাস্তায় সামাজিক দূরত্বের মাপকাঠি বজায় থাকছে না বললেই চলে। কাজেই লকডাউন তোলার পর্যায়ে খুব সতর্ক থাকতে হবে। 

বাড়তি সতর্কতা হিসেবে অনেকেই মাস্কের উপর স্বচ্ছ্ব প্লাস্টিকের মুখাবরণ বা ফেস শিল্ড পরছেন। এই সময়, বাড়ি থেকে বেরোলে শুধু মাস্ক পরলেই কি হবে? না কি পরতে হবে ফেস শিল্ডও? এই নিয়ে সংশয়ে অনেকেই।

কী বলছেন বিশষজ্ঞরা?

ত্রিস্তরীয় ও ফিল্টার দেওয়া কাপড়ের কাপড়ের মাস্ক ঠিক ভাবে পরলে এবং মানুষের সঙ্গে ৩-৬ ফুট দূরত্ব বজায় রাখতে পারলে প্রায় ৯০-৯৫ শতাংশ সুরক্ষা পাওয়া যায়। কিন্তু, অনেকে মাস্ক ঠিক ভাবে সামলাতে পারেন না। কেউ কথা বলার সময় চিবুকের কাছে নামিয়ে নেন, কেউ বা পরেন নাকের নীচে এবং তা প্রায়ই নাক থেকে সরে যায়। 

মাস্ক না ফেস শিল্ড – কোনটা বেশি নিরাপদ

কখনও আবার এত হালকা করে বাঁধেন যে চারপাশে প্রচুর ফাঁক থেকে যায়। অনেকে আবার বার বার মাস্কের বাইরের অংশে হাত দিয়ে সেই হাত নাকে-মুখে-চোখে লাগান। কেউ কেউ একটাই মাস্ক না ধুয়ে বা ডিজপোজেবল হলে না ফেলে, রোজ পরতে থাকেন। ফলে মাস্ক পরার উদ্দেশ্যই মাটি হয়ে যেতে বসেছে। বিপদ বাড়ে।

শিল্ডের সুবিধা হল, এতে কপাল থেকে চিবুক ছাপিয়ে ঢাকা থাকে। ফলে চোখে যেমন আলাদা করে কিছু পরতে হয় না, কথা বলারও সুবিধা হয়। ঠোঁট ও মুখের সঠিক অভিব্যক্তি প্রকাশ পায়। চোখে-মুখে-নাকে হাত দেওয়া যায় না, ফলে সে বাবদ সংক্রমণের আশঙ্কা কমে যায়।

যাঁরা মাস্ক পরলে দমবন্ধ লাগে এই যুক্তিতে কষ্ট করে মাস্ক পরতে বাধ্য হন, ফেস শিল্ডে তাঁদেরও সুবিধা। তা ছাড়া এটি জীবাণুমুক্ত করা সহজ। সাবান-জলে ধুয়ে নিলে বা স্যানিটাইজার দিয়ে মুছে নিলে তা পরিষ্কার হয়ে যায়।

বিভিন্ন গবেষণা থেকে জানা গিয়েছে, শিল্ড পরলে মাত্র দেড় ফুট দূরে দাঁড়িয়েও যদি কেউ হাঁচেন, কাশেন, জোরে কথা বলেন বা হাসেন, ৯৬ শতাংশ ক্ষেত্রে কোনও বিপদ হয় না।

শিল্ডের কিছু অসুবিধাও আছে

প্রথমত এটা একটু ভারী। তার উপর দু’পাশে কিছুটা করে ফাঁকা জায়গা আছে বলে ঠিক পিছনে বা পাশে আপনার দিকে মুখ করে দাঁড়িয়ে কেউ হাঁচলে, কাশলে, জোরে কথা বললে বা হাসলে সংক্রামিত হওয়ার আশঙ্কা আছে।

শিল্ড পরতে হবে চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী, রাস্তায় বেশি লোকসমক্ষে আসা পুলিশকর্মী ও হাসপাতাল কর্মীদের। নাক-কান-গলা-চোখ বা দাঁতের চিকিৎসকদের দুটোই পরা দরকার। যাঁরা নিজের গাড়িতে যাতায়াত করেন ও আলাদা অফিসে বসেন, তাঁদের যে কোনও একটা পরলেই হবে। 

তবে নিয়ম মেনে ঠিক পদ্ধতিতে মাস্ক পরলে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে পারলে মাস্কেই আস্থা রাখতে পারেন।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen