গরমে ত্বকে কি খুব র্যাশ বের হয়? রক্ষা পাওয়ার উপায় কী?
বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি যে শুধুমাত্র আপনার ত্বককে কালো হওয়া থেকে রক্ষা করে না বরং এটি হাইড্রেটেড রাখে, যার কারণে র্যাশের মতো সমস্যা হয় না।

গরমের সময় যে সব উপদ্রবগুলো আমাদের যেগুলো সহ্য করা যায় না, তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে এই র্যাশের উৎপাত (Skin Problems)। কাজে-কর্মের জন্য রোদ্দুরে বেরোতেই হয়, আর চৈত্রের এই চিড়বিড়ানি গরম খানিকক্ষণ সহ্য করার পরেই শরীরের যে সব অংশে রোদ পড়ছে সেই অংশগুলো লাল হয়ে ভরে যায় র্যাশে (Skin Problems)। ওই জায়গায় চুলকানি তো হয়ই, সেখানে আবার ঘাম পড়লে জ্বলেও যায়। বাচ্চাদেরও ন্যাপি পরলে গরমের সময় র্যাশ বেরোতে দেখা যায়।
হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হতে পারে শিশুরাও। আসলে, গ্রীষ্মকালে ত্বক ডিহাইড্রেটেড হতে শুরু করে, যার ফলে এই সমস্যাগুলো (Skin Problems) তৈরি হয়। অনেক চিকিৎসা করেও এই সমস্যা নিরাময় হয় না। বিশেষজ্ঞদের মতে, আমরা এমন কিছু ভুল করি, যার ফলে এটির সমস্যা বাড়তে থাকে। আপনি যদি ত্বককে সুস্থ রাখতে চান তবে এই ভুলগুলি এড়িয়ে চলুন। প্রতিবছর গরমের সময় এই সমস্যা সৃষ্টি হলে এই বিষয়গুলির উপর বিশেষ যত্ন নেওয়া প্রয়োজন।
চড়া মেকআপ কখনই নয়

মেকআপ আপনার ত্বককে নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে। কারো কারো মুখে বা ঘাড়ে র্যাশ বা ঘামাচির দেখা যায়। আপনার যদি এই সমস্যা দেখা দেয় তাহলে ভারী মেকআপ করবেন না। ত্বক যতটা সম্ভব মুক্ত রাখার চেষ্টা করুন। এতে বেশি মুক্তভাবে শ্বাস নেবে, তত স্বাস্থ্যকর হবে।
জিন্স পরার সময় এই ভুল নয়


আজকাল জিন্স একটি অপরিহার্য পোশাক। অফিস বা কলেজে যাওয়ার সময় আমরা এই পোশাক পরে থাকি। এটি বেশ আঁটসাঁট, এছাড়াও, এর ফ্যাব্রিকও খুব পুরু, যা আপনার শরীরে তাপ সৃষ্টি করে সহজেই। বেশি চাপা জিন্স পরবেন না। ঢিলেঢালা পোশাক পরুন। আঁটসাঁট পোশাক পরলে অত্যধিক ঘাম হতে পারে, যার ফলে র্যাশ ও ঘামাচি হতে পারে।
সানস্ক্রিন ছাড়া ঘর থেকে বের হবেন না

গরমে ত্বকের বাড়তি সুরক্ষা প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে সানস্ক্রিন লাগিয়ে বেরোন। বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি যে শুধুমাত্র আপনার ত্বককে কালো হওয়া থেকে রক্ষা করে না বরং এটি হাইড্রেটেড রাখে, যার কারণে র্যাশের মতো সমস্যা হয় না। সানস্ক্রিন না লাগিয়ে ঘর থেকে বের হলে এই সমস্যা কমার বদলে বাড়তে পারে।